শ্রেণিকক্ষে এআই ব্যবহার নিয়ে আশাবাদী বিল গেটস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নানা ধরনের ব্যবহার নিয়ে বেশ আশাবাদী মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাই তিনি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুমাত্রিক ব্যবহারের পক্ষে। গত মঙ্গলবার নিজের ব্লগসাইট ‘গেটস নোটস’-এ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি বিদ্যালয়ের এআই ব্যবহার করার বিষয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন বিল গেটস। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, আমার মা–বাবা আমাকে সিয়াটেলের বিশ্ব মেলায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চমৎকার সব প্রযুক্তি আমার কাছে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি–উপন্যাসের মতো মনে হয়েছিল। সেই মেলায় আমাকে একাধিকবার নিয়ে যেতে মা–বাবাকে বলতাম। প্রতিবার মেলার মাঠে হাঁটতে গিয়ে ভবিষ্যতের আভাস পেতাম আমি। নিউইয়র্কের একটি শ্রেণিকক্ষে আমি সেই অনুভূতি আবারও অনুভব করেছি।’
গত মে মাসে বিল গেটস নিউইয়র্কের ফার্স্ট অ্যাভিনিউ এলিমেন্টারি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমে ‘খানমিগো’ নামের একটি এআই টুল ব্যবহার করা হচ্ছে। গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এআই টুলটি তৈরি করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা সালমান খানের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষামূলক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘খান একাডেমি’। টুলটির মাধ্যমে শিক্ষকেরা সহজেই পড়ালেখার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে পারেন। শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকে।
বিল গেটস বলেন, ‘আমি মনে করি, খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান একজন স্বপ্নদর্শী। শিশুদের শেখানোর জন্য প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা উঠলে তাঁর কথা আসবে। আমি নিউইয়র্কে যা দেখেছি, তা আমাকে প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনার সন্ধান দিয়েছে। আমরা শ্রেণিকক্ষে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছি। এআই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।’
নিজেদের তৈরি খানমিগো এআই টুলকে ‘শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক, শিক্ষকের জন্য সহকারী’ বলে দাবি করেছে খান একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, শিক্ষার্থীদের জন্য এককভাবে বিভিন্ন বিষয় শেখার অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে খানমিগো। শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞান ও মানবিক সমস্যা নিয়ে ভাবতেও সাহায্য করে এআই টুলটি।
সূত্র: গেটস নোটস