নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজে এআই

অ্যান্টিবায়োটিক দ্রুত খুঁজে পেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানীরারয়টার্স

বিজ্ঞানীরা নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের সন্ধান পেতে নিয়মিত গবেষণা করে থাকেন। এবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দ্রুত খুঁজে পেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছেন তাঁরা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অণুজীবের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী আচরণের গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেল জার্নালে এআই দিয়ে বিজ্ঞানীদের অ্যান্টিবায়োটিক অনুসন্ধানের ওপর একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সিজার দে লা ফুয়েন্তে বলেন, ‘আমাদের পৃথিবীর অণুজীবে বৈচিত্র্য আছে। সব অণুজীবের কথা আমরা জানি না। নতুন অণুজীবের তথ্য খুঁজে বের করার জন্য একটি এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছি আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেশিন বায়োলজি গ্রুপ নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার নিয়ে কাজ করছে। অ্যালগরিদম ব্যবহারের আগে বিভিন্ন নমুনার মধ্যে অণু খুঁজে পেতে পুরোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। সেই পদ্ধতিতে নতুন অণুজীব খুঁজে বের করতে অনেক বছর সময় প্রয়োজন হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর অ্যালগরিদম দিয়ে এখন দ্রুত  প্রচুর তথ্য বিশ্লেষণ করা যাচ্ছে। ফলে অণুজীব খুঁজে বের করার পুরো প্রক্রিয়া বেশ দ্রুত হচ্ছে। আমরা ৬ হাজার ৬৮০ টি যৌগ বিশ্লেষণ করতে এআই ব্যবহার করেছি। এরই মধ্যে অ্যাবাউসিনসহ ৯টি সম্ভাব্য অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছি আমরা।’

সাধারণত গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বছরের পর বছর ধরে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে কাজ করতে হয়। কখনো কখনো ২০ বছর সময় লাগতে পারে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির জন্য। আগে যেখানে একটি অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে পাঁচ-ছয় বছর অপেক্ষা করতে হতো এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার সম্ভাব্য নমুনা যাচাই করা যাচ্ছে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির গবেষণা দ্রুত করার সুযোগ মিলছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান