এআই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়ার পর জানা গেল ছবিটি মানুষের তোলা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ছবির জন্য একটি চিত্র প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করা ছবিটি মানুষের তোলা বলে জানা গেছে। কোনো এআই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবিটি তৈরি করা হয়নি। এরপর অবশ্য আয়োজকেরা ছবিটিকে সেই প্রতিযোগিতার জন্য অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করে মনোনয়ন বাতিল করেছেন।
গত বছর আলোকচিত্রের জন্য চালু করা হয় ‘১৮৩৯ অ্যাওয়ার্ডস’। ছবির জন্য এ প্রতিযোগিতায় মানুষের তোলা ছবি ও এআইয়ে তৈরি ছবির আলাদা বিভাগও রয়েছে। দুই বিভাগের জন্যই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছবি বাছাইয়ের জন্য নির্বাচক হিসেবে কাজ করেন নিউইয়র্ক টাইমস, ক্রিস্টি ও গেটি ইমেজে কর্মরত অভিজ্ঞ আলোকচিত্রীরা। এই আয়োজনে এআই দিয়ে তৈরি ছবির জন্য ‘এআই ইমেজেস’ নামে আলাদা একটি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগে এআইয়ে তৈরি ছবি জমা দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যায়।
মানুষের তোলা ও এআই দিয়ে বানানো ছবির জন্য আলাদা বিভাগ তৈরির উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে এ প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা। তাঁদের মতে, যাতে ন্যায্য প্রতিযোগিতা হয় এবং প্রতিটি মাধ্যমের স্বতন্ত্র শৈল্পিক অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া যায়। এ জন্যই দুটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে।
নন-এআই বিভাগ অর্থাৎ মানুষের তোলা ছবির জন্য ছবি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ছবির প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যও দিতে হয়। যাতে ছবির প্রকৃত ফাইল ও ছবিটি একজন মানুষই তুলেছেন, তার প্রমাণ দিতে হয়।
কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় এআই বিভাগে ছবি জমা দেওয়ার জন্য প্রমাণস্বরূপ এমন কোনো তথ্য দিতে হয় না। শর্তের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের তোলা ছবি এআই বিভাগে জমা দিয়েছেন মাইলস অ্যাস্ট্রে ছদ্মনামের একজন। ‘ফ্লেম ইন গন’ নামের এ ছবি এআই বিভাগে পিপলস চয়েস পুরস্কারও পায়।
মাইলস অ্যাস্ট্রে দাবি করছেন, নিজের তোলা ছবি এআই বিভাগে জমা দিয়েছেন, এটা জানান দিতে যে এখনো মানুষের তৈরি আধেয় প্রাসঙ্গিক। প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মানুষের সৃজনশীলতা যেকোনো মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিকে হারিয়ে দিতে পারে। সৃজনশীলতা ও আবেগ ডিজিটাল কম্পিউটেশনের থেকে অনেক বেশি দামি।
এ প্রতিযোগিতার আয়োজক বিবৃতি দিয়ে মাইলস অ্যাস্ট্রের মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে অ্যাস্ট্রে জানিয়েছেন, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে এবং তিনি এতে পূর্ণ সমর্থন জানান। তবে তাঁর ছবির তৃতীয় হওয়া ও পিপলস চয়েস পুরস্কার পাওয়ার মাধ্যমে প্রকৃত শিল্পী ও সৃজনশীল মানুষদের জয় হয়েছে।
সূত্র: আর্সটেকনিকা ডটকম