চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি নিষিদ্ধের কথা ভাবছে ইইউ
আগামী পাঁচ বছরের জন্য খোলা জায়গায় চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনার কথা ভাবছে ইউরোপীয় কমিশন। মূলত নীতিনির্ধারণী সংস্থাগুলো প্রযুক্তিটির অপব্যবহার রোধের দিকটি ভেবে দেখার জন্য আরও সময় চাইছে।
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবহার করে থাকে। যেখানে তাদের সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়। তবে কমিশনের সিদ্ধান্তে নিরাপত্তাবিষয়ক প্রকল্প, গবেষণা বা যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মে প্রযুক্তিটির ব্যবহার নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
কমিশনের প্রস্তাবিত ১৮ পৃষ্ঠার নীতিমালা, বিশেষ করে গোপনীয়তা ও তথ্য অধিকারকে ঘিরে এই নিয়ম পরিচালিত হবে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারী ও নির্মাতা উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। আরও দাবি জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নতুন নীতিমালা তদারকি করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
প্রযুক্তিটির উন্মুক্ত স্থানে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যা ও ঝুঁকি রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করা, পাশাপাশি এর সমাধান বের করার জন্যই আগামী তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সর্বত্র ব্যবহার বন্ধ করা হচ্ছে। কারণ, চেহারা শনাক্ত করার সময় ফরসা ত্বকের চেয়ে কৃষ্ণবর্ণের চেহারা ও নারীদের চিনতে পারার প্রবণতা কম।
এরই মধ্যে চীন সরকার সাংহাইয়ের ওষুধের দোকানগুলোতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধ বিকিকিনির ক্ষেত্রে পরিচয় যাচাই এর মূল উদ্দেশ্য। চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহারে চীনের আগ্রহ প্রবল। সূত্র: বিবিসি