শুরু হচ্ছে 'ন্যাশনাল হ্যাকাথন অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস'
দেশের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে ন্যাশনাল হ্যাকাথন অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস। থিংক, হ্যাক, সলভ স্লোগানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প বা স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়ার উদ্যোগে এ হ্যাকাথন আয়োজিত হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন ও টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড।
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এ হ্যাকাথনে আবেদন করতে পারবেন। সর্বোচ্চ ৩ জনের একটি দল বা এককভাবে এতে অংশ নেওয়া যাবে। দুই দিনের এ হ্যাকাথন ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
যেসব সমস্যা নিয়ে কাজ করতে হবে—গুজব প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থা প্রবর্তন, পল্লি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মনিটরিংয়ের জন্য একটি ইফেক্টিভ টুল তৈরি, একটি কার্যকর ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রবর্তন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ইন্টিগ্রেটেড মার্কেট ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি, যথাযথভাবে খাদ্যশস্য সংরক্ষণে স্মার্ট ওয়্যারহাউস (এলএসডি/সিএসডি/সাইলো), অনুমোদিত বিল্ডিং কোড অনুযায়ী স্থাপনা তৈরিতে রিয়েল টাইম ইমারত নির্মাণ পরীক্ষণ ব্যবস্থা প্রবর্তন, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে যথাযথ ব্যবস্থা প্রবর্তন, রেল দুর্ঘটনা রোধে ‘ক্যাব সিগন্যালিং’ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নৌ-দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক নৌযান সিগন্যাল/ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালুকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’এবং ‘মোটরযান ফিটনেস সার্টিফিকেট’ প্রদান ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।
অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী সমাধানগুলোকে নিয়ে হবে চূড়ান্ত হ্যাকাথন। সারা দেশ থেকে নির্বাচিত ৫০টি দল মূল হ্যাকাথনে অংশ নেবে। সেখান থেকে সেরা ১০টি উদ্ভাবনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিজয়ী ১০টি টিমকে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেডের মেকারস ল্যাবে গবেষণা ও প্রযুক্তি সহায়তায় মনিটরিং ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে উদ্ভাবনী প্রকল্পটি ম্যাচিউর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করা হবে।
সারা দেশ থেকে আগ্রহী ব্যক্তিরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন। এআই, ব্লকচেইন, বিগ ডেটা, ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবটিকসের মতো প্রযুক্তি এতে যুক্ত থাকতে হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে (www.startupbangladesh.gov.bd) সাইটে আবেদন করতে হবে।
প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। এ আয়োজনে তরুণদের অংশগ্রহণ করে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তির ব্যবহার এবং দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।’