স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়াবেন যেভাবে

বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে চললে স্মার্টফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো যায়। আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গতি বাড়ানোর ৮ পদ্ধতিছবি: পেক্সেলস

ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি স্মার্টফোনের মাধ্যমে ই-মেইল আদান–প্রদানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন অনেকে। কিন্তু অনেক সময় ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে ফোনে স্বচ্ছন্দে ইন্টারনেট ব্যবহারসহ ভিডিও দেখা যায় না। ফলে বিরক্ত হন কেউ কেউ। অনেক সময় ফোনে ব্যবহৃত ইন্টারনেট প্যাকেজ বা ডেটা প্ল্যানের কারণে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। তবে ডেটা প্ল্যান ঠিক থাকলে ফোনে কিছু বিষয় পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টারনেট কাজ না করলে যেসব বিষয় পরীক্ষা করতে হবে, তা দেখে নেওয়া যাক।

ফোন রিস্টার্ট করা

স্মার্টফোনের যেকোনো সমস্যা সমাধানের একটি সহজ উপায় হলো ফোন রিস্টার্ট করা। যদি ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হয়, তাহলে ফোন রিস্টার্ট করে একটু অপেক্ষা করে আবার ইন্টারনেট চালু করতে হবে। এতে ইন্টারনেট গতির সাধারণ ত্রুটি ঠিক হয়ে যাবে।

হালনাগাদ সফটওয়্যার ব্যবহার

অপারেটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার হালনাগাদ না করলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা হয়। আর তাই সব সময় হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার পাশাপাশি যেসব অ্যাপ ব্যবহারের সময় ইন্টারনেট ধীরগতিতে কাজ করে, সেগুলো হালনাগাদ করতে হবে।

ফোনের পটভূমিতে চালু থাকা অ্যাপ বন্ধ

ফোনে অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার না করলেও পটভূমিতে চালু থাকে। শুধু তা–ই নয়, অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় ডেটা খরচ করার পাশাপাশি গতিও কমিয়ে দেয়। তাই ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য অবশ্যই পটভূমিতে সচল থাকা সব অ্যাপ বন্ধ করে রাখতে হবে।

ভিপিএন ব্যবহার

সাধারণত ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করলে অনলাইনে নিরাপত্তা বাড়লেও ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কমে যায়। আর তাই ভিপিএন ব্যবহারের বদলে সাধারণভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। তবে পেইড বা প্রিমিয়াম ভিপিএনের ক্ষেত্রে গতি কমার হার উল্লেখ করার মতো নয়।

অ্যাড ব্লকার ব্যবহার

পপআপসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন থাকলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কম থাকলেও দ্রুত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে।

ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলা

ফোনে যে অ্যাপই ব্যবহার করেন না কেন, তা নিয়মিত তথ্য জমা করে, যা ক্যাশ মেমোরি নামে পরিচিত। ক্যাশ মেমোরি বেশি থাকলে ফোন ধীরগতির হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। আর তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের পর অ্যাপ থেকে নিয়মিত ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলতে হবে।