স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ডেটা খরচ কমানোর ৫ কৌশল

স্মার্টফোনে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে ইন্টারনেট ডেটার খরচ কমানো যায়ছবি: রয়টার্স

ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। ওয়াই–ফাই সংযোগের পাশাপাশি স্মার্টফোনে মোবাইল ডেটা ব্যবহার করেন অনেকেই। মোবাইল ডেটা দিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করার সুবিধা থাকলেও ডেটা ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হলে খরচও বেড়ে যায়। স্মার্টফোনে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে ইন্টারনেট ডেটার খরচ কমানো যায়। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ডেটা খরচ কমানোর কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।

ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ সচল না রাখা

ব্যবহার না করলেও অনেক অ্যাপ ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে সব সময় চালু থাকে। ফলে ফোনে ইন্টারনেট চালু থাকলে অ্যাপগুলোও ডেটা খরচ করতে থাকে। আর তাই মোবাইল ডেটা সাশ্রয় করতে চাইলে প্রথমেই ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকা অ্যাপগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রথমে ফোনের সেটিংসে গিয়ে কানেকশনস অপশনে যেতে হবে। এরপর ডেটা ইউজেস অপশনে গিয়ে ডেটা সেভিংস মোড চালু করে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা লিমিট করে দিতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলা

অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি ডেটা খরচ করে। আবার কিছু অ্যাপ বা গেম আছে, যেগুলোতে বিজ্ঞাপন চলতে থাকে। ফলে নিজের অগোচরে ধারণার চেয়ে বেশি খরচ হতে থাকে ইন্টারনেট ডেটা। এ ধরনের অ্যাপ যদি নিয়মিত ব্যবহার করা না হয়, তবে সেসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলে ইন্টারনেট খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব।

মোবাইল ডেটায় অ্যাপ হালনাগাদ বন্ধ করা

ইনস্টল করা অ্যাপে যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করার অপশনটি চালু থাকে, তাহলেও প্রচুর ডেটা খরচ হবে। আর তাই মোবাইল ডেটার বদলে শুধু ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে অ্যাপ হালনাগাদ করতে হবে।

ওয়াই–ফাই অ্যাসিস্ট বন্ধ করা

ওয়াই–ফাই অ্যাসিস্ট সুবিধা চালু থাকলে দুর্বল ওয়াই–ফাই সংযোগের সময় মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে ইন্টারনেটের গতি নিরবচ্ছিন্ন রাখা হয়। তাই ওয়াই–ফাই অ্যাসিস্ট সুবিধা বন্ধ রাখতে হবে।

মোবাইল ডেটা বন্ধ রাখা

অপ্রয়োজনে মোবাইল ডেটা ব্যবহার না করে বন্ধ করে রাখতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল ডেটা ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করে রাখলেও অতিরিক্ত ইন্টারনেট ডেটা খরচ হবে না।