স্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোন এখন দৈনন্দিন জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। আর তাই তো কোনো কারণে ফোনে সমস্যা দেখা দিলে দৈনন্দিন কাজ করতে বেশ সমস্যা হয় অনেকের। ফোন বিকল বা নষ্ট হলে সবার পক্ষে নতুন ফোন কেনা সম্ভব হয় না, ফলে তাঁরা ছোটেন সার্ভিস সেন্টারে। ফোন নষ্ট হলেও সেখানে আমাদের ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন তথ্য জমা থাকে। আর তাই ফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
১. বিক্রয়োত্তর সেবা যাচাই
যেকোনো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনেই সাধারণত এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানভেদে বিভিন্ন সুরক্ষা–সুবিধাও পাওয়া যায়। আর তাই ফোনে কোনো সমস্যা হলে প্রথমেই বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ জানার পাশাপাশি সুরক্ষা নীতিমালার আওতাভুক্ত কি না, তা জানতে হবে। বিক্রয়োত্তর সেবা ও সুরক্ষা নীতিমালার আওতাভুক্ত হলে স্বল্প বা বিনা খরচে ফোন মেরামত করা যাবে। তবে সাধারণত দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি—যেমন হাত থেকে পড়ে যাওয়া বা আঘাতের কারণে ফোনের ক্ষতি হলে বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যায় না।
২. ফোনের চারপাশের ছবি তুলে রাখা
মেরামত করতে দেওয়ার আগে ফোনের সর্বশেষ অবস্থার প্রমাণ নিজের কাছে রাখার জন্য ছবি তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ফোন জমা দেওয়ার আগে ফোনের চারপাশের ছবি ভালোভাবে তুলতে হবে। এর ফলে মেরামতের সময় নতুন দাগ বা ক্ষতি হলে সহজেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে।
৩. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ
ফোন মেরামতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। আর তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন যোগাযোগের জন্য ফোনে সংরক্ষণ করা ফোন নম্বগুলো আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ছবি বা ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করে মুছে ফেলতে হবে।
৪. ফ্যাক্টরি রিসেট
ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ফোন মেরামতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই সার্ভিস সেন্টারে দেওয়ার আগে ফোন অবশ্যই ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, ফ্যাক্টরি রিসেটের ফলে ফোনের সব ডেটা মুছে যাবে। আগে থেকে ব্যাকআপ না নিলে হারানো তথ্য পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তাই ডেটার ব্যাকআপ নিয়ে এরপর ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে। মেরামতের পর ব্যাকআপ থেকে আগের ডেটা পুনরুদ্ধার করে ব্যবহার শুরু করা যাবে।
৫. সহায়ক যন্ত্রাংশ খুলে রাখা
ফোন কেস, স্ক্রিন প্রটেক্টর বা অন্যান্য একসেসরিজ মেরামতের জন্য প্রয়োজন হয় না। যদিও বেশির ভাগ মেরামতকারী সেগুলো খুলে ব্যবহারকারীর কাছে ফেরত দেন, তবে নিজে থেকেই এগুলো খুলে রাখা যেতে পারে। শুধু তা–ই নয়, মাইক্রোএসডি এবং সিম কার্ডও খুলে রাখতে হবে।