শমী কায়সারের পর এবার পদত্যাগ করলেন ই–ক্যাব ইসির আরও ৯ সদস্য
দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে শমী কায়সারের পদত্যাগের পর গতকাল শুক্রবার ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী পর্ষদের (ইসি) আরও ৯ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাব উদ্দিন বরাবর গতকাল পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারিন রেজা, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার তাসফিন আলম, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ এবং পরিচালক মো. সাইদুর রহমান, মো. ইলমুল হক, শাহরিয়ার হাসান, পরিচালক অর্নব মোস্তফা ও আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। এর আগে ১৩ আগস্ট ব্যক্তিগত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন সংগঠনের সভাপতি শমী কায়সার।
এ ব্যাপারে গতকাল মুঠোফোনে সাহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকার বাইরে আছি। ৯ জনের পদত্যাগের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। রোববার অফিস খোলার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারব।’ ৯ জনের পদত্যাগের পর ই-ক্যাবের ১১ সদস্যের ইসির মধ্যে এখন শুধু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাব উদ্দিনই দায়িত্বে রয়েছেন।
ই-ক্যাবের একাধিক সদস্য জানান, বৈষম্যবিরোধী ই-ক্যাবের সমন্বয়ক ও সদস্যদের মূল চাওয়া, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একই সঙ্গে তাঁরা এমন নেতৃত্ব নিয়ে আসার প্রত্যাশা করছেন, যাঁরা ই-ক্যাবকে গ্রহণযোগ্য সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন। সদস্যবান্ধব একটি সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলবেন।
পদত্যাগের বিষয়ে ই-ক্যাবের সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারিন রেজা আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারণ একটাই, আমাদের মেয়াদ শেষ। অনেকে মনে করছেন, আমরা মেয়াদ বাড়িয়ে থাকতে চাইছি বা এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছি। কিন্তু না। আমরা স্বচ্ছ থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত ২৭ জুলাই নতুন কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেশের পরিস্থিতির কারণে সেটার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও পদত্যাগ করেন। ই–ক্যাব নেতৃত্বকে পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করতে আমরা পদত্যাগ করেছি।’
ই-ক্যাবের পদত্যাগী অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে আমরা পরিচালক, বাণিজ্য সংগঠনের (ডিটিও) কাছে পরামর্শ চেয়েছি। ডিটিওর পরামর্শ অনুযায়ী ই-ক্যাব পরিচালিত হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৮ জুন প্রথমবারের মতো ই-ক্যাবের নির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১১টি পদে ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে ২০২২-২৪ মেয়াদের কমিটি গঠিত হয়। ২০২৪-২৬ মেয়াদের ইসির জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমান কমিটির প্রায় সবাই পদত্যাগ করলেন।