টাইম ১০০ এআই তালিকা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেপথ্যে যাঁদের অবদান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেমন সম্ভাবনার, তেমনি শঙ্কারও। মানুষের মতো দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এআই তার বিস্তৃতি ছড়িয়েছে। এআই এমন অনেক কিছুই করতে সক্ষম যা ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এমনকি মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখে নিজের মডেলকে আরও সমৃদ্ধও করছে এআই। ‘মেশিন লার্নিং’ ও ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ’ মডেলের এই অগ্রগতির পেছনে কিছু মানুষ নিরলসভাবে শ্রম দিচ্ছেন। তাঁরা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য কাজ করছেন। আবার কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কখন ও কোন সময় করতে হবে, এমন জটিল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্র—এমন প্রভাবশালী মানুষদের তুলে ধরছে বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকী। যার ধারাবাহিকতায় তৈরি করা হয়েছে ‘টাইম ১০০ এআই’ তালিকা।
গত ১০০ বছরে টাইমের প্রচ্ছদে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছেন—এমন ব্যক্তি বা উদ্যোগকে তুলে ধরা হয়েছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেনারেটিভ এআইয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ চ্যাটজিপিটিকে প্রচ্ছদ করে টাইম। মার্চে এআইয়ের সুরক্ষা নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে সাময়িকীটি। মে মাসে নতুন এই প্রযুক্তির সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের মতামত তুলে ধরে একটি বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ করে। জুন মাসে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরা হয়। জুলাই মাসে ভারতের কর্ণাটকের এআই গ্রামকে তুলে ধরা হয়। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে একটি গ্রামের মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় টাইমের সম্পাদক ও প্রতিবেদকেরা এআইয়ের প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির মনোনয়নের জন্য কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এ তালিকার প্রায় সবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে টাইম। এআইয়ের এই অগ্রগতির জন্য কাজ করছেন, আবার নৈতিকতা প্রসঙ্গে এআই নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন ছুড়ছেন এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় যাঁরা এআই ব্যবহার করছেন—এমন তিন ধরনের মানুষই এতে স্থান পেয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন এআইয়ের কঠোর সমালোচক, বিজ্ঞানী, লেখক, শিল্পী, এআইয়ের পক্ষে অবস্থান করে এমন ব্যক্তি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। দেখে নেওয়া যাক ‘টাইম ১০০ এআই’র তালিকায় কারা রয়েছেন।
নেতৃত্বে যাঁরা (লিডারস তালিকা)
১. দারিও অ্যামোদেই ও ড্যানিয়েলা অ্যামোদেই; সিইও এবং প্রেসিডেন্ট, অ্যানথ্রোপিক।
২. স্যাম অল্টম্যান; সিইও, ওপেন এআই।
৩. ডেমিস হ্যাসাবিস; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, গুগল ডিপমাইন্ড।
৪. রবিন লি; সিইও, সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বাইদু।
৫. ক্লেমেন্ট ডেলাঙ্গ; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, হাগিং ফেস।
৬. লিলা ইব্রাহিম; সিওও, গুগল ডিপমাইন্ড।
৭. ইলন মাস্ক; প্রতিষ্ঠাতা, এক্স এআই।
৮. রেক্যাল উরতাসান; সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা, ওয়াবি।
৯. অ্যালেক্স কার্প; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, প্যালানটির টেকনোলজিস।
১০. রেইড হফম্যান; উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী।
১১. গ্রেগ ব্রোকম্যান; সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট, ওপেন এআই।
১২. মার্ক আন্দ্রেসেন; উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী।
১৩. সান্দ্রা রিভেরা; মহাব্যবস্থাপক, ডেটা সেন্টার অ্যান্ড এআই গ্রুপ, ইন্টেল।
১৪. আইদান গোমেজ; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, কোহের।
১৫. ড্যানিয়েল গ্রস; উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী।
১৬. কাই-ফু লি; চেয়ারম্যান এবং সিইও, সিনোভেশন ভেঞ্চারস।
১৭. জাইমি তিভান; চিফ সায়েন্টিস্ট, মাইক্রোসফট।
১৮. অ্যান্ড্রু এনজি; প্রতিষ্ঠাতা, ডিপ লার্নিং ডট এআই।
১৯. কেভিন স্কট; সিটিও এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এআই), মাইক্রোসফট।
২০. জেনসেন হুয়াং; সিইও, প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিষ্ঠাতা, এনভিডিয়া।
২১. ক্ল্যারা সি; সিইও, সেলসফোর্স এআই।
২২. আলেকজান্ডার ওয়াং; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, স্কেল এআই।
২৩. মুস্তাফা সুলেইমান; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, ইনফ্লেকশন এআই।
২৪. মার্ক রেইবার্ট; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, বোস্টন ডায়নামিকস এআই ইনস্টিটিউট।
উদ্ভাবক ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের তালিকা
১. টেড চাইয়াং, লেখক।
২. চার্লি ব্রোকার, লেখক।
৩. হলি হার্নডন, গায়ক।
৪. পেলোনোমি মইলোয়া; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, লেলাপা এআই।
৫. গ্রিমস, গায়ক।
৬. নীল খোসলা; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, কুরাই।
৭. স্টেফানি ডিনকিন্স, শিল্পী।
৮. সুগওয়েন চুং, শিল্পী।
৯. ক্রিস্টোবাল ভ্যালেনজুয়েলা; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, রানওয়ে।
১০. লিলি ওয়াচস্কি, চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১১. মনু চোপড়া; সিইও, কারিয়া।
১২. কেট কলোট; সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা, আমিনি।
১৩. জিয়াদ ওবারমেয়ার; সহযোগী অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে।
১৪. নোয়াম শাজির; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, ক্যারেক্টার ডট এআই।
১৫. অ্যালিসন ডার্সি; প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট, উইবট হেলথ।
১৬. নাথানিয়েল ম্যানিং; সিওও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, কেটল।
১৭. তুষিতা গুপ্তা; সিটিও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, রিফাইবারড।
১৮. অ্যান্ড্রু হপকিনস; সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা, এক্সসায়েন্টিয়া।
১৯. লিন্ডা রেবেইজ, শিল্পী।
২০. রিচার্ড সোচার; সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা, ইউ ডটকম।
২১. কিথ ড্রেয়ার; চিফ ডেটা সায়েন্স অফিসার, ম্যাস জেনারেল ব্রিগহ্যাম।
২২. ন্যানসি জু; সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা, মুনহাব।
২৩. রুটপোর্ট, লেখক।
শেপার্স তালিকা
১. অ্যালোন্ড্রা নেলসন; গবেষক, ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভাইজার।
২. ইয়ান হোগার্থ; যুক্তরাজ্যের ফ্রন্টিয়ার এআই টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান।
৩. অড্রে ট্যাং; ডিজিটালবিষয়ক মন্ত্রী, তাইওয়ান।
৪. মেরেডিথ হুইটেকার; প্রেসিডেন্ট, সিগন্যাল।
৫. জেমস মনিকা; সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, রিসার্চ, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি, গুগল।
৬. জ্যাক ক্লার্ক; সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং হেড অব পলিসি, অ্যানথ্রোপিক।
৭. অ্যানা ম্যাকাঞ্জি; ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স), ওপেন এআই।
৮. ওমর আল ওলামা; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক মন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৯. কেলি ম্যাককার্নান, শিল্পী।
১০. এরিক স্মিড্ট; সহপ্রতিষ্ঠাতা, স্মিড্ট ফিউচার।
১১. মারঘ্রিথি ভেসতেগার; নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশন।
১২. অ্যানা এশু; প্রতিনিধি, মার্কিন কংগ্রেস।
১৩. রিচার্ড ম্যাথেঞ্জ; সংগঠক, আফ্রিকান কনটেন্ট মডারেটর ইউনিয়ন।
১৪. স্নেহা রেভানুর; প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট, এনকোড জাস্টিস।
১৫. ট্রিস্টান হ্যারিস; সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, সেন্টার ফর হিউম্যান টেকনোলজি।
১৬. জয় বুওলামবিনি; প্রতিষ্ঠাতা এবং আর্টিস্ট ইন চিফ, অ্যালগরিদমিক জাস্টিস লিগ।
১৭. এলিয়েজার ইউডকোস্কি; সহপ্রতিষ্ঠাতা, মেশিন ইন্টেলিজেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
১৮. ভেরিটি হার্ডিং; ডিরেক্টর, এআই অ্যান্ড জিওপলিটিকস, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯. টেড লিউ প্রতিনিধি, মার্কিন কংগ্রেস।
২০. সারা চন্দর; সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার, ইউরোপীয় ডিজিটাল রাইটস।
২১. নিনা জানকোভিচ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেন্টার ফর ইনফরমেশন রেজিলিয়েন্স।
২২. রমেশ ও সুনীল ওয়াধওয়ানি, সহপ্রতিষ্ঠাতা, ওয়াধওয়ানি এআই।
২৩. ইলহাম তাবাসি, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর, এমার্জিং টেকনোলজিস, এনআইএসটি।
২৪. ড্যান হেনড্রিক্স; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, সেন্টার ফর এআই সেফটি।
২৫. জেস হুইটলস্টোন; হেড (এআই পলিসি), সেন্টার ফর লং টার্ম রেজিলিয়েন্স।
২৬. জন হনোভিচ; প্রতিষ্ঠাতা, আইপিভিএম।
থিঙ্কার্স তালিকা
১. জিওফ্রে হিন্টন; ইমেরিটাস অধ্যাপক, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়।
২. ফেই ফেই লি; অধ্যাপক, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
৩. আবেবা বিরহনে, কগনিটিভ সায়েন্টিস্ট।
৪. শেন লেগ; সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এজিআই সায়েন্টিস, গুগল ডিপমাইন্ড।
৫. রুম্মান চৌধুরী; সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা, হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স।
৬. ই জেং; অধ্যাপক, চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
৭. টিমনিট গেব্রু; প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ডিস্ট্রিবিউটেড এআই রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
৮. কেট ক্রফোর্ড; অধ্যাপক, ইউএসসি অ্যানেনবার্গ এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চার, মাইক্রোসফট রিসার্চ।
৯. পুষ্মিত কোহলি; ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ), গুগল ডিপমাইন্ড।
১০. ইলিয়া সুটস্কেভার; সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ সায়েন্টিস্ট, ওপেন এআই।
১১. ইয়েজিন চোই; অধ্যাপক, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়।
১২. ইয়ান লেকুন; চিফ এআই সায়েন্টিস্ট, মেটা।
১৩. ইনিওলুওয়া ডেবোরাহ রাজি; ফেলো, মজিলা ফাউন্ডেশন।
১৪. ম্যাক্স টেগমার্ক; সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট, ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউট।
১৫. ইয়োশুয়া বেঙ্গিও; সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর, মন্ট্রিয়ল ইনস্টিটিউট ফর লার্নিং অ্যালগরিদম।
১৬. এমিলি এম বেন্ডার; অধ্যাপক, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়।
১৭. মার্গারেট মিচেল; চিফ এআই এথিকস সায়েন্টিস্ট, হাগিং ফেস।
১৮. পল শ্যারে; এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি।
১৯. জান লেইকে; সুপার অ্যালাইনমেন্ট কো-লিড, ওপেন এআই।
২০. পল ক্রিশ্চিয়ানো; প্রতিষ্ঠাতা, অ্যালাইনমেন্ট রিসার্চ সেন্টার।
২১. কালিকা বালি; প্রধান গবেষক, মাইক্রোসফট রিসার্চ ইন্ডিয়া।
২২. স্টুয়ার্ট রাসেল; অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে।
২৩. অরবিন্দ নারায়ণন ও সায়াশ কাপুর; অধ্যাপক এবং ডক্টরাল ক্যান্ডিডেট, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়।
২৪. শাকির মোহাম্মদ; রিসার্চ ডিরেক্টর, গুগল ডিপমাইন্ড এবং প্রতিষ্ঠাতা, ডিপ লার্নিং ইন্দাবা।