প্রযুক্তির এই দিনে: ৪ ফেব্রুয়ারি
দুনিয়া কাঁপাতে চালু হলো দ্য ফেসবুক
দ্য ফেসবুক নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করেন মার্ক জাকারবার্গ। এটি এখন পৃথিবীর সামাজিক যোগাযোগের সংজ্ঞা পাল্টে দেওয়া ফেসবুক।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪
চালু হলো দ্য ফেসবুক
দ্য ফেসবুক নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করেন মার্ক জাকারবার্গ। এটি এখন পৃথিবীর সামাজিক যোগাযোগের সংজ্ঞা পাল্টে দেওয়া ফেসবুক। মার্ক জাকারবার্গ এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও চার ছাত্র এদুয়ার্দো স্যাভেরিন, অ্যান্ড্রু ম্যাকলাম, ডাস্টিন মস্কোভিৎজ ও ক্রিস হিউস ফেসবুক তৈরি করেন। তাঁরা সবাই হার্ভার্ডে একই কক্ষে থাকতেন।
প্রথমে এর নাম ছিল দ্য ফেস বুক ডিরেক্টরিজ। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের নাম–ঠিকানা ছিল। প্রথমে শুধু হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরা এর সদস্য হতে পারতেন। ২০০৬ সালে ফেসবুক সবাইকে এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ দেয়।
পরে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফেসবুক। পুরো পৃথিবীর সামাজিকতায় পরিবর্তন এনেছে এটি। ২০২৩ সালের হিসাবে প্রতি মাসে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০৩ কোটি। গত বছরের অক্টোবর মাসের হিসাবে ইন্টারনেটে বেশি দেখা ওয়েবসাইটের মধ্যে ফেসবুক আছে তৃতীয় স্থানে। ফেসবুকে ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ব্যবহার হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০১০–এর দশকে মুঠোফোনে সবচেয়ে বেশি নামানো হয় ফেসবুক অ্যাপ।
ইন্টারনেট সংযোগসহ ফেসবুক পার্সোনাল কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন থেকে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্ট খুলে লেখা, ছবি, ভিডিওসহ সব ধরনের আধেয় বা কনটেন্ট ফেসবুকে প্রকাশ করতে পারেন। ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রয়েছে মেসেঞ্জার। এ ছাড়া আছে পেজ, গ্রুপ ইত্যাদি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও বর্তমানে ফেসবুকের গুরুত্ব ও প্রভাব কোনোভাবেই ফেলে দেওয়া যায় না। ফেসবুকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছেন। এ জন্য ‘ফেসবুক কমার্স’ বা ‘এফ–কমার্স’ শব্দও এখন প্রচলিত। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা গঠন করা হয়েছে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর। ফেসবুকের প্রোগ্রাম লেখা হয়েছে সি প্লাস প্লাস, হ্যাক (এইচএইচভিএম হিসেবে) ও পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষায়।
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩
ইউনিক্সের সহনির্মাতা কেন থম্পসনের জন্ম
নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম ইউনিক্সের সহনির্মাতা কম্পিউটার বিজ্ঞানী কেনেথ (কেন) থম্পসন জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এটিঅ্যান্ডটি বেল ল্যাবরেটরিজে ডেনিস রিচির সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ইউনিক্স তৈরি করেন। প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্রুত ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষ করে ইন্টারনেটের কারিগরি কাজে ইউনিক্স এখনো জনপ্রিয়।
কেন থম্পসন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলি থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক ও ১৯৬৬ সালের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিক্স, মালটিকস প্রোগ্রাম, প্রোগ্রামিং ভাষা বি, দাবা খেলার প্রোগ্রাম বেলে, ইনফারনো অপারেটিং সিস্টেম, গ্রেপ, গো, এন্ডেগম সফটওয়্যারের নির্মাতা। কেন থম্পসন ১৯৮৩ সালে টুরিং পুরস্কার পান। এ ছাড়া তিনি আইইইই এমানুয়েল আর পাইরো অ্যাওয়ার্ড (১৯৮২), মেম্বার অদ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স (১৯৮৫), আইইইই রিচার্ড ডব্লিউ হ্যামিং পদক (১৯৯০), কম্পিউটার পাইওনিয়ার অ্যাওয়ার্ড (১৯৯৪), ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি (১৯৯৮), সুতোমু কানাই অ্যাওয়ার্ড (১৯৯৯), হ্যারল্ড পেন্ডার অ্যাওয়ার্ড (২০০৩) ও জাপান প্রাইজ (২০১১) অর্জন করেছেন।
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮
বিল গেটসের মুখে কেক ছুড়ে মারলেন নোয়েল গোডিন
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে শিক্ষার ওপর বক্তব্য দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দপ্তরে প্রবেশ করছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন চেয়ারম্যান বিল গেটস। সরকারি এই ভবনে ঢোকার মুখে বিল গেটসের মুখে এক টুকরা কেক (পেস্ট্রি বা পাইও হতে পারে) ছুড়ে মারেন বেলিজয়ান প্র্যাঙ্কস্টার নোয়েল গোডিন। বিল গেটসের মুখমণ্ডলে ও পোশাকে কেকের ক্রিম ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপর নোয়েল গোডিন পালাতে সক্ষম হলেও পুলিশ তাঁর এক সহযোগী এবং একজন ক্যামেরাম্যানকে আটক করে পুলিশ। নোয়েল একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কেক ছোড়ারা দায় স্বীকার করেন। তবে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিল গেটস নোয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করছেন না বা কোনো আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। নিজের প্রতি পৃথিবীর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছিল নোয়েলের উদ্দেশ্য।