স্যামুয়েল মোর্সের জন্ম

মার্কিন উদ্ভাবক ও চিত্রকর স্যামুয়েল ফিনলে ব্রিজ মোর্স যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের চার্লসটাউনে জন্মগ্রহণ করেন।

স্যামুয়েল ফিনলে ব্রিজ মোর্সউইকিমিডিয়া কমন্স

২৭ এপ্রিল ১৭৯১
স্যামুয়েল মোর্সের জন্ম
মার্কিন উদ্ভাবক ও চিত্রকর স্যামুয়েল ফিনলে ব্রিজ মোর্স যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের চার্লসটাউনে জন্মগ্রহণ করেন। প্রতিকৃতি আঁকিয়ে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর মধ্যবয়সে এসে মোর্স ইউরোপীয় টেলিগ্রাফের ওপর ভিত্তি করে একক তারের টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখেন। সহ–উদ্ভাবক হিসেবে ১৮৩৭ সালে মোর্স কোড উদ্ভাবন করে তিনি তার যোগাযোগ বা টেলিগ্রাফির বাণিজ্যিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন।

স্যামুয়েল মোর্সের আঁকা আত্মপ্রতিকৃতি
উইকিমিডিয়া কমন্স

১৮৫২ সালে মোর্স কিং অব রটেমবার্গের গ্রেট গোল্ড মেডেল অব আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স পুরস্কার পান। ১৯৮৮ সালে মোর্সের টেলিগ্রাফকে ইনস্টিটিউট অব ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারস ‘আইইইই মাইলফলক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৮৭২ সালের ২ এপ্রিল স্যামুয়েল মোর্স মারা যান।

আন্ডারউড টাইপরাইটার, ১৮৯৮
উইকিমিডিয়া কমন্স

২৭ এপ্রিল ১৮৯৩
প্রথম আন্ডারউড টাইপরাইটার উদ্ভাবিত
জার্মান–মার্কিন প্রকৌশলী ফ্রানজ সাভার ভাগনার প্রথম আন্ডারউড টাইপরাইটার উদ্ভাবন করেন এবং মার্কিন পেটেন্ট অফিসে পেটেন্ট স্বত্বের জন্য আবেদন করেন। ১৮৭৪ সালে থেকে আন্ডারউড পরিবার রেমিংটন টাইপরাইটারের ফিতা (রিবন) ও কার্বন পেপার তৈরি করত। রেমিংটন যখন নিজেরাই রিবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আন্ডারউড টাইপরাইটার নির্মাণের কথা ভাবে।
সাভার ভাগনার একটি টাইপরাইটার উদ্ভাবন করে উদ্যোক্তা জন টমাস আন্ডারউডকে দেখান। আন্ডারউড ভাগনারকে সহযোগিতা করেন এবং তাঁর কোম্পানি কিনে নেন। ১৯০০ সালের মধ্যে ৫টি আন্ডারউড টাইপরাইট বাজারে ছাড়া হয়। এগুলোকে তখন বলা হতো সত্যিকারের প্রথম আধুনিক টাইপরাইটার। ১৯২০–এর দশকে আন্ডারউড বিশ্বের সবচেয়ে বড় টাইপরাইটার উৎপাদক হয়ে ওঠে। কানেকটিকাটের হার্টফোর্ডে তাদের কারখানায় পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি টাইপরাইটার তৈরি হতো। হার্টফোর্ড সেই সময়ে আন্ডারউড ও রয়েল টাইপরাইটার কোম্পানি মিলে প্রতি মিনিটে একটি করে টাইপরাইটার উৎপাদন করত। এ জন্য হার্টফোর্ডকে ‘টাইপরাইটারের রাজধানী’ বলা হতো।

২৭ এপ্রিল ১৯৫৫
এরিক স্মিড্টের জন্ম
মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও গুগলের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক স্মিড্‌ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০১ থেকে ২০১১ তিনি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেন ইনকরপোরেটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন (২০১৫–২০১৭)। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন অ্যালফাবেটের কারিগরি উপদেষ্টা। ২০২২ সালে প্রকাশিত ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়ার সূচক অনযায়ী এরিক স্মিড্‌টের সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৫০১ কোটি মার্কিন ডলার।
শিক্ষানবিশ হিসেবে বেল ল্যাবসে কাজ করার সময় স্মিডট ১৯৭৫ সালে মাইক লেকসের সঙ্গে ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য লেক্স অ্যানালাইসিস প্রোগ্রাম লেখেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি নভেলের সিইও হিসেবে কাজ করেন। তিনি অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও ছিলেন। ২০০৮ সালে গুগলের চেয়ারম্যান থাকার সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন। এরপর তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে ওবামার প্রেসিডেন্টস কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে এরিক স্মিড্‌ট স্পেশাল কম্পিটিটিভ স্টাডিজ প্রজেক্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এখনো সেটির চেয়ারম্যার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ইশারাভাষায় পারদর্শী ছিল কোকো নামের এই গরিলা
সংগৃহীত

২৭ এপ্রিল ১৯৯৮
ইন্টারনেটে সরাসরি চ্যাট করে কোকো নামের গরিলা
ইন্টারনেটে প্রথম সরাসরি অনুষ্ঠিত আন্তঃপ্রজাতি (ইন্টারস্পেসিস) চ্যাটিংয়ে অংশ নেয় কোকো নামের এক গরিলা। তারকাখ্যাতি পাওয়ার এই কোকো আমেরিকান ইশারাভাষার এক শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় সিলিকন ভ্যালির গরিলা ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দেন গরিলাও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।    

ফ্র্যান্সিন প্যাটারসনের (ডানে) সঙ্গে কোকো
বিবিসির সৌজন্যে

কোকো আমেরিকা অনলাইনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে চ্যাট করতে থাকা। তবে মানুষের সঙ্গে ‘কথা’ বলা কোকোর জন্য নতুন কিছু ছিল না। এই স্ত্রী গরিলা ২৫ বছর ধরে আমেরিকান ইশারাভাষা শিখেছে, প্রায় দুই হাজার ইংরেজি শব্দ সে বুঝতে পারে। ইন্টারনেট কথোপকথনে (চ্যাট) কোকো তার প্রশিক্ষক ও অনুবাদক ড. ফ্র্যান্সিন প্যাটারসনের সহায়তায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়। ১৯৭১ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো চিড়িয়াখানায় কোকো জন্মগ্রহণ করে। ২০১৮ সালের ২১ জুন মারা যায় এই গরিলা।