কেউ চাইলেই আমরা সবকিছু বন্ধ করতে পারি না: মেটা

মেটা
ছবি: ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই উস্কানিমূলক পোস্ট বা ভিডিও প্রচার করেন। এর মাধ্যমে অনেক সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। মেটা কী করতে পারবে আর কী করতে পারবে না, সে বিষয়ে মেটার ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ (নীতিমালা)–এ সবকিছু বলা আছে। ফলে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকার চাইলেও আমরা সবকিছু বন্ধ করতে পারি না। তবে প্রতিহিংসামূলক কোনো তথ্য বা ভিডিও থাকলে আমরা নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিই। আজ বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে মেটার প্রাইভেসিবিষয়ক এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে মেটার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রাইভেসি ও পাবলিক পলিসি ব্যবস্থাপক আরিয়ান জিমেনেজ ও মেটার এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পলিসি কমিউনিকেশনস লিড (এমার্জিং মার্কেটস ও দক্ষিণ এশিয়া) ফাহাদ কাদির। এ সময় তাঁরা বলেন, মেটাতে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম মানলে ব্যবহারকারী নিরাপদে থাকবেন।

সরকার যদি উস্কানিমূলক কোনো কিছু মুছে দিতে বলে, তাহলে মেটা কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়? এমন একটি প্রশ্নের জানানো হয়, মেটার নীতিমালার আওতায় থাকলেই কেবল আমরা কোনো কিছু মুছে ফেলি বা সরিয়ে দিই। ব্যক্তি বা যে কোনো পর্যায় থেকে যথাযথভাবে জানালেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমরা কখনোই ফেসবুকের নীতিমালার বাইরে কাজ করতে পারি না।

ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে বিনিময় করে থাকে মেটা। এসব তথ্য কি ওই ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়ে আদান–প্রদান করা হয়? এ ব্যাপারে আরিয়ান জিমেনেজ বলেন, এটা নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ওপর। ব্যবহারকারী যখন কোনো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তখন তাঁর কাছে কিছু অনুমতি চাওয়া হয়। ব্যবহারকারী যেসব বিষয়ে অনুমতি দেন, সেসব বিষয়ই তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হয়।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে আরিয়ান জানান, মেটা কখনো কারও কথা (ভয়েস) ইচ্ছা করে বা বিপণনের জন্য রেকর্ড করে না। কিন্তু কোনো গ্রাহক যখন ভয়েস রেকর্ডার চালু করে কোনো কিছু রেকর্ড করেন, সে ক্ষেত্রে ভয়েসগুলো মেটার কাছে চলে আসে। বাজারে গুজব রয়েছে, ব্যবহারকারীর ভয়েস শুনে সে অনুযায়ী তাঁকে ওই–সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনগুলো দেখায় মেটা। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মেটা শুধু গ্রাহকের ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দেখায়।

মেটা প্রাইভেসি সেন্টার নামে একটি নতুন অপশন চালু করা হয়েছে ফেসবুকে, যা থেকে ব্যবহারকারীরা নিরাপত্তার বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মেটার নিরাপত্তার বিষয়গুলো এখন থেকে বাংলায়ও দেখা যাবে বলে এই আয়োজনে জানানো হয়। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও শ্রীলংকায় মেটার যোগাযোগ ব্যবস্থাপক (কমিউনিকেশনস ম্যানেজার) শেহজিন চৌধুরী।