ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে প্রথম তিন দিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আজ চতুর্থ দিনে অবশ্য তেমন দর্শক হয়নি। গ্যালারির অনেক জায়গা ফাঁকা ছিল। তা দেখেই কি আগামীকাল পঞ্চম ও শেষ দিনে বিনা পয়সায় খেলা দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো?
ইংল্যান্ডের সমর্থকেরা তাতে খুশিই হবেন। টেস্টের শেষ দিনে যে রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখেছে ট্রেন্ট ব্রিজ।
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে। ২৩৮ রানের লিড পেয়েছে টম ল্যাথামের দল। অর্থাৎ, আগামীকাল শেষ দিনে সব রকম ফলই সম্ভব। তবে সকালের সেশনে নিউজিল্যান্ডকে খুব দ্রুত অলআউট করতে পারলে জয়ের একটা সুযোগ তৈরি হতে পারে ইংল্যান্ডের জন্য। বেন স্টোকসের দল যে সে সুযোগটা নেবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এর আগে ৫ উইকেটে ৪৭৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা ইংল্যান্ড ২৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে থামে ৫৩৯ রানে। ১৪ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। ১৭৬ রানে ফেরেন জো রুট, বেন ফোকস করেন ৫৬ রান। ক্যারিয়ারে দশমবার ৫ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
এরপর নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই টম ল্যাথামকে ফেরান জেমস অ্যান্ডারসন, ক্যারিয়ারে ইংলিশ পেসারের সেটি ৬৫০তম উইকেট। ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রান যোগ করেন। ৫২ রান করেন কনওয়ে। ৫৬ রানের ইনিংস আসে উইল ইয়ংয়ের ব্যাট থেকে।
২৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে এরপর আবারও ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ৩২ রানে ব্যাট করা ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে এখন উইকেটে আছেন নয়ে নামা ম্যাট হেনরি (৮)। নিউজিল্যান্ডের জন্য দুশ্চিন্তা আছে আরও। চোট পাওয়া কাইল জেমিসন কাল ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
চতুর্থ দিনে ২ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষ সেশনে ১১০ রান তুলেছে সফরকারী দল, কিন্তু এর মধ্যে আরও ৫ উইকেট হারানোয় ম্যাচে ফেরার সুযোগটা পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে ২ উইকেট নেন ম্যাথু পটস। ১টি করে উইকেট অ্যান্ডরসন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও জ্যাক লিচের।
কাল কিউইদের দ্রুত অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে জয় তুলে নিতে পারলে ২০২১ সালের জানুয়ারির পর প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে ইংল্যান্ড। এর আগে দুই দল প্রথম ইনিংসে মোট তুলেছে ১০৯২ রান, যা ট্রেন্ট ব্রিজের মাঠের ১২৩ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৫৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৫৩৯ রান।