রোনালদোর চেয়ে মেসি, বাজারে বিকোয় বেশি
খেলোয়াড়দের কাজ কি কেবল খেলা? না, সেদিন আর নেই। অনুশীলনে অখণ্ড মনোযোগ। সারাক্ষণ খেলা নিয়ে ভাবা—এসব এখন অতীতের ব্যাপার। এখন খেলোয়াড়দের খেলা নিয়ে ভাবার পাশাপাশি অন্যের পণ্য নিয়েও ভাবতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করতে হয় সেই পণ্যের প্রচারের উদ্দেশ্যে। উপার্জনটাও মন্দ হয় না খেলার উপার্জনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় সেটি। দিনের বড় একটা অংশই ব্যয় করতে হয় করপোরেট হাউস কিংবা তাদের পণ্যের দূতিয়ালির কাজে।
এ মুহূর্তে খেলার দুনিয়ার কোন তারকা এই কাজে সবচেয়ে উপযোগী! নিয়েলসেন স্পোর্টসপ্রো ২০২০ এটা হিসেব করে বের করেছে। ৫০ জন ক্রীড়াতারকার একটা তালিকা তৈরি করেছে তাঁরা, বিপণনের জগতে কার চাহিদা কত বেশি, তাঁর ওপর ভিত্তি করে। সে তালিকায় শীর্ষে আছে লিওনেল মেসির নাম। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোকে টপকে এই সম্মান অর্জন করেছেন বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার এই তারকা ফরোয়ার্ড।
কিসের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকাটা বানানো হয়েছে, তাঁর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে স্পোর্টসপ্রো, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের কার্যকারিতা ও পৃষ্ঠপোষকদের সর্বোচ্চ লাভ প্রদান করার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের উপযোগিতা সঠিকভাবে পরিমাপ করার জন্য নিয়েলসেন বেশ কিছু নিয়ামকের সাহায্য নিয়েছে, যেমন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার অনুসারী কত, পোস্টে মানুষের অংশগ্রহণের মাত্রা কী রকম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে, মিডিয়ায় উক্ত খেলোয়াড়ের দাম ইত্যাদি।’
তালিকার শীর্ষ দশে মেসি-রোনালদো ছাড়াও আরও তিনজন ফুটবলার আছেন— পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার, লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ ও রোনালদোর ক্লাব-সতীর্থ, আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালা। তাঁদের অবস্থান যথাক্রমে ৬, ৯ ও ১০। ক্রিকেটের আছেন দুজন, দুজনই ভারতের - বিরাট কোহলি (৪) ও রোহিত শর্মা (৮)। একজন করে আছেন টেনিস, মিক্সড মার্শাল আর্টস ও বাস্কেটবলের। তৃতীয় স্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল তারকা, লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের পাওয়ার ফরোয়ার্ড লেব্রন জেমস। পঞ্চম স্থানে আছেন কানাডার টেনিস তারকা, ২০১৯ ইউএস ওপেনজয়ী বিয়াঙ্কা আন্দ্রিস্কু। সপ্তম স্থানে আছেন রাশিয়ার মিক্সড মার্শাল আর্টস তারকা, ইউএফসির লাইটওয়েট চ্যাম্পিয়ন খাবিব নুরমাগোমেদভ।
এক নজরে তালিকাটি দেখে নিন—