রোনালদো ৩১ কোটি টাকার গয়নাগাটি নিয়েও মেওয়েদারের ধারেকাছে নেই
ক্রীড়াবিদেরা ফ্যাশনসচেতন। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের ছবি দেখলেই বোঝা যায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথাই ধরুন, বিশ্বব্যাপী ভক্তরা তাঁর ফ্যাশন অনুসরণ করেন। রোনালদো কী পরেন, তা নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই।
সাবেক বক্সার ফ্লয়েড মেওয়েদারের ভক্তসংখ্যা এ দেশে হয়তো খুব বেশি নেই। কিন্তু ‘মানি’ তকমায় খ্যাতি পাওয়া মেওয়েদারের ভক্তরা ছড়িয়ে আছে গোটা পৃথিবীতে। এই দুই তারকারই অলংকারের প্রতি আগ্রহ আছে। সে জন্য দেদারসে খরচেও কুণ্ঠা নেই তাঁদের। প্রশ্ন উঠতে পারে, দুজনের মধ্যে সবচেয়ে দামি অলংকার আছে কার কাছে?
মেওয়েদার ও রোনালদোর সম্পদ কম নেই। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ক্রীড়াবিদদের মধ্য থেকে তাঁরা বেশ ওপরের দিকেই থাকেন। ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চারবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন মেওয়েদার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই নিজের খরচের বহর দেখান ১৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী সাবেক এই ক্রীড়াবিদ।
সাধারণত গাড়ি, বিমান ও অলংকারসামগ্রী কেনাতেই বেশি ঝোঁক মেওয়েদারের। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্সিং কিংবদন্তির কাছে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) মূল্যের অলংকার আছে।
মেওয়েদারের গলায় প্রায় সব সময় একাধিক চেইন দেখা যায়। হাতেও আংটি পরতেও অভ্যস্ত তিনি। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকেও মাঝেমধ্যে গলায় চেইন পরতে দেখা যায়। তবে মেওয়েদারের মতো অত অলংকার নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার। রোনালদোর কাছে ৩৫ লাখ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১ কোটি ৮ লাখ টাকা) অলংকারসামগ্রী আছে।
মেওয়েদারের মতো অলংকারের পেছনে এত খরচ না করলেও রোনালদোর নেশা আসলে গাড়ির প্রতি। তাঁর গ্যারেজে বুগাত্তি, ল্যামবুর্গিনি ও ফেরারির মতো বিলাসবহুল গাড়ি আছে কয়েকটি। এর বাইরে অন্য মডেলের বিলাসবহুল গাড়িও আছে তাঁর।
গত জানুয়ারিতে দুবাইয়ে মেওয়েদারের হাতে একটি ঘড়ি দেখা গেছে, যার দাম ২০ লাখ ডলার। রেইনবো ট্যুরবিলিয়ন মডেলের এ ঘড়ি তখন ঝড় তুলেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মেওয়েদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অলংকার ও টাকাপয়সা দেখাতে পছন্দ করেন।
কয়েক বছর আগে টাকার বান্ডিলে তৈরি বিছানা বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে ছবি পোস্ট করে আলোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। রোনালদোর অলংকার ও টাকাপয়সা না হলেও গাড়ি নিয়ে ‘দেখনদারি’ আছে।
তাঁর গ্যারেজে ২০টির বেশি গাড়ি আছে। সে গাড়িগুলোও যেনতেন মডেলের নয়। রোনালদোর গাড়িপ্রীতির একটি বিশেষ ব্যাপার হলো, শুধু বিলাসবহুল হলে চলবে না ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে তা সাধারণ গাড়ির চেয়ে আলাদা হতে হবে। কী নেই সেখানে! পোরশে ৯১১ কারেয়া টুএস ক্যাব্রিওলে থেকে শুরু করে অডি আর ৮, ফেরারি ৫৯৯ জিটিবি, ফেরারি এফ৪৩০—কোনটা রেখে কোনটায় তাকাবেন! বেন্টলি, বুগাত্তি, মাজেরাত্তি, মার্সিডিজ, অ্যাস্টন মার্টিন, রোলস রয়েসের গাড়িও সমৃদ্ধ করে রেখেছে রোনালদোর গ্যারেজ।