বিধ্বস্ত ব্রাজিল: অবাক সবাই
দলের প্রাণভোমরা নেইমার ছিলেন না। দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় খেলা হয়নি অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার। দুই মূল খেলোয়াড় ছাড়া ব্রাজিলকে জার্মানি হারাতে পারে, এটা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তাই বলে স্কোরলাইন ৭-১!! বিস্ময়ের সব সীমাকেই ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল। ব্রাজিলীয়রা যেভাবে জার্মানদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। ব্রাজিলীয় ফুটবলকে যে লজ্জা জার্মানি ‘উপহার’ দিল, তা সত্যিই এক অবমাননাকর অধ্যায়। বেলো হরিজন্তেতে নিজেদের ফুটবলের যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা কি পুষিয়ে নিতে পারবে ব্রাজিল? এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে প্রতিক্রিয়া।
ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার জুনিনহো পাওলিস্তা বলছেন, ‘এ ক্ষতি পূরণ করা কঠিন হবে। আমার ধারণা, অনেক খেলোয়াড়ই আর ব্রাজিলের জার্সি পরতে পারবে না। এই মুহূর্তে খেলোয়াড়দের সমালোচনা করা কঠিন। মাঠে জার্মানরা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে ফুটবল খেলতে হয়। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’ একই মত ইংলিশ ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডেরও, ‘আমার আশঙ্কা, ব্রাজিলীয় খেলোয়াড়েরা বোধ হয় কখনোই এ ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে না। অনেকেই হয়তো আর দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাবে না।’
ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার বলছেন, ‘গত ৫০ বছরে আমি এমন অবিস্মরণীয় ম্যাচ দেখেনি।’ ম্যাচের ফল ‘অস্বাভাবিক’ ঠেকছে আর্জেন্টাইন কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলার কাছে. ‘দুটি ফুটবল পরাশক্তির ম্যাচের ফল ৭-১ কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। তবে ফুটবলে এমনটা হতে পারে। এমন কিছু ঘটতে পারে যা কেউ প্রত্যাশা করেনি। আর এ জন্যই ফুটবল খেলাটা এত সুন্দর।’
ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার ভিজেন্তে লিজারাজুর ভাষ্য, ‘এটি ব্রাজিলের জন্য অমাননাকর এবং ভয়াবহ এক হার।’ সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার দিয়েতমার হ্যামানের কণ্ঠে দেশের জয়গান, ‘উঁচু মানের খেলা দেখাল জার্মানি। খুব পরিচ্ছন্ন, শৃঙ্খলাবদ্ধ, নিঃস্বার্থ খেলা। দলের জন্য খুব গর্ব হচ্ছে। আর একটা জয় চাই। তাহলেই চ্যাম্পিয়ন।’ সূত্র: এএফপি।