‘পুরোনো’ কোহলিকে ফিরে পাওয়ার রাতে আশা টিকে থাকল বেঙ্গালুরুর
মৌসুমে এর আগেও একটি অর্ধশতক পেয়েছেন বিরাট কোহলি, সেটিও এই গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষেই। তবে ৫৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংসেও নিজেকে যেন হারিয়েই খুঁজেছিলেন। আজকের ইনিংসটি অবশ্য মনে করাল ফর্ম হারিয়ে ফেলার আগের কোহলির কথাই। রান তাড়ায় জয় থেকে ২৩ রান দূরে থাকতে আউট হওয়ার আগে করলেন ৫৪ বলে ৭৩ রান, ৮টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়।
কোহলির ইনিংস, ফাফ ডু প্লেসির সঙ্গে তাঁর ১১৫ রানের ওপেনিং জুটির পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১৮ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংসে টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাটকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু, ৮ বল বাকি থাকতে। প্লে-অফে যেতে হলে এ ম্যাচে জিততেই হতো বেঙ্গালুরুকে। অবশ্য এ ম্যাচ জেতার পরও বেঙ্গালুরুর ভাগ্য নিজেদের হাতে নেই। রানরেটের দুর্দশার কারণে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে দিল্লি ক্যাপিটালসের হার আশা করতে হবে তাদের। অবশ্য বেঙ্গালুরু আজকের ম্যাচ জেতার পর বাদ পড়ে গেল পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। গুজরাট প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে আগেই, নিশ্চিত তাদের টেবিলে শীর্ষে থাকাও।
ওয়াংখেড়েতে ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বেঙ্গালুরুর শুরুটা দৃঢ় হয় কোহলি-ডু প্লেসির জুটিতে। কোহলি অবশ্য ভাগ্যের ছোঁয়া পান আজ, ১৬ রানে পান্ডিয়ার বলে তাঁর ক্যাচ ছাড়েন রশিদ খান। মুখোমুখি ৩৩তম বলে রশিদকে মিড উইকেট দিয়ে ছয় মেরেই অর্ধশতক পূর্ণ করেন কোহলি। টি-টোয়েন্টিতে রশিদের বিপক্ষে সেটিই কোহলির প্রথম ছয়। ছন্দে থাকা কোহলি খেলেন দারুণ কিছু শট। ডু প্লেসিও শুধু সঙ্গ দেওয়ার কাজটাই করে যাচ্ছিলেন।
১৫তম ওভারে ভাঙে তাঁদের জুটি, ডু প্লেসি ফেরেন ৩৮ বলে ৪৪ রান করে। অবশ্য নেমেই ঝড় শুরু করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিংয়ে অসুবিধা হয়নি বেঙ্গালুরুর। কোহলিকে আউট করেন রশিদই। ৫৪ বলে ৭৩ রান করে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন কোহলি। তবে জয়টা তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে তাদের। ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৪০ রান করে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সিদ্ধার্থ কৌলের প্রথম ওভারে ১৪ রান তুলে গুজরাটের শুরুটা দ্রুতগতিরই করেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে তৃতীয় ওভারে শুবমান গিল ফিরলে প্রথম হোঁচট খায় গুজরাট, জশ হ্যাজলউডের বলে স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পঞ্চম ওভারে ম্যাথু ওয়েড তোলেন ১৫ রান, তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ম্যাক্সওয়েলের বলেই ফেরেন তিনি। প্রথম ৬ ওভারে গুজরাট তোলে ৩৮ রান।
নবম ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন ২২ বলে ৩১ রান করা ঋদ্ধিমান সাহা। ডেভিড মিলারের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওঠে ৪৭ বলে ৬১ রান। ২৫ বলে ৩৪ রান করা মিলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফিরতি ক্যাচ দিলে ভাঙে সে জুটি।
রাহুল তেওয়াতিয়া ঝড় তুলতে পারেননি, ১৮ ওভার শেষেও গুজরাটের রান ছিল ১৩৪। সেখান থেকে তারা বড়সড় লাফ দেয় রশিদ খানের ৬ বলে ১৯ রানের সৌজন্যে। পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৬২ রান করে। ইনিংসে গুজরাট অধিনায়ক মারেন ৪টি চার ও ৩টি ছয়।