বড়দিন তাঁদের জন্মদিনও
২৫ ডিসেম্বর। বড়দিন। ক্রিসমাস। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন। উৎসবের দিন।
বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এদিন উৎসবে মাতেন। যিশুর জন্মোৎসবের এই দিনে ল্যাপল্যান্ড থেকে বল্গা হরিণের স্লেজে চড়ে উপহার বিলাতে থাকেন সান্তা ক্লজ। এমন দিনে যাদের জন্মদিন, সান্তার উপহার পেয়ে নিশ্চিত বহুগুণ বেড়ে যায় তাদের আনন্দ। শুধু কি খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী, অন্য ধর্মের মানুষের জন্যও এটি ‘বড়দিন’ই। সব দেশেই তো এদিন ছুটি।
সেই ছুটির দিনে জন্মদিন হওয়াটা ‘ডাবল ডিলাইট’ ছাড়া আর কী! এমন সৌভাগ্য কজনেরই–বা হয়। ক্রীড়াঙ্গনের বেশ কজন তারকার এমন সৌভাগ্য হয়েছে। বড়দিনে জন্মদিন, এমন কিছু বিখ্যাত খেলোয়াড়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক—
ক্ল্যারি গ্রিমেট (ক্রিকেটার) | জন্ম: ১৮৯১
নিউজিল্যান্ডে জন্ম, তবে লেগ স্পিন কিংবদন্তি ক্ল্যারি গ্রিমেট টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। ফ্লিপারের জনক গ্রিমেট ১৯১৪ সালে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। টেস্ট অভিষেক ৩৩ বছর বয়সে। তারপরও সর্বকালের সেরা লেগ স্পিনারের তালিকায় তাঁর নামটা আসে। বিল ও’রিলির সঙ্গে ইতিহাসের সেরা লেগ স্পিন জুটি গড়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন অনেক টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার কৃতিত্বও তাঁর।
জেয়ারজিনহো (ফুটবলার) | জন্ম: ১৯৪৪
১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য জেয়ারজিনহো। মেক্সিকোর ওই বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসে যা অদ্বিতীয় কীর্তি হয়ে আছে এখনো। ‘হারিকেন’ নামে পরিচিত জেয়ারজিনহো ১৯৬৫ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে ৮১ ম্যাচে করেছেন ৩৩ গোল।
মার্কাস ট্রেসকোথিক (ক্রিকেটার) | জন্ম: ১৯৭৫
ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২০০০ থেকে ২০০৬ সালে মধ্যেই খেলেছেন ৭৬টি টেস্ট ও ১২৩টি ওয়ানডে। টেস্টে ১৪ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৮২৫ রান, ওয়ানডেতে ১২টি সেঞ্চুরি, রান ৪৩৩৫। অবসাদজনিত কারণে অকালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার সময় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন ট্রেসকোথিক। পরে তাঁকে ছাড়িয়ে যান জেসন রয়, এউইন মরগান ও জো রুটরা।
অ্যালিস্টার কুক (ক্রিকেটার) | জন্ম: ১৯৮৪
ট্রেসকোথিকের টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার বছরই ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেন দলটির ভবিষ্যৎ অধিনায়ক। ১২ বছর পর ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট (১৬১), সবচেয়ে বেশি রান (১২৪৭২) ও সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির (৩৩) রেকর্ড নিয়ে অবসরে যান অ্যালিস্টার কুক। পরে জো রুটের কাছে রান ও সেঞ্চুরির রেকর্ডটি হারান। জেমস অ্যান্ডারসনের কাছে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার।