টস
সিডনিতে দুপুরে বৃষ্টি ছিল, তবে মোটামুটি নির্ধারিত সময়েই হয়েছে টস। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
দুই দলেই বাড়তি স্পিনার
দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের কথা ভেবে বাংলাদেশ দলে নেওয়া হয়েছে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে। তাঁকে জায়গা করে দিয়েছেন ইয়াসির আলী।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আছেন তাব্রেইজ শামসি। লুঙ্গি এনগিডির জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে এ বাঁহাতি আনঅর্থোডক্স স্পিনারকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক, রাইলি রুশো, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, ওয়েইন পারনেল, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্কিয়া, তাব্রেইজ শামসি।
প্রথম ওভারেই তাসকিনের আঘাত
নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে তাসকিন আহমেদ ফিরিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে। অফ স্টাম্পের বাইরে তাসকিনের অসাধারণ এক লেংথ বলে খোঁচা মেরেছেন বাভুমা। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি বাংলাদেশের উইকেটকিপার নুরুল হাসানের।
এলোমেলো তাসকিন
ডট
ডট
৪
১
৫ (নো)
১ (নো)
৬
৪
টানা দুটি নো, এরপর ফ্রি হিটে ছয়-চার—এলোমেলো ছিলেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় ওভারে তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন কুইন্টন ডি কক।
৩ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১/১।
ছুটছেন ডি কক ও রুশো
৪.৩ ওভার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০/১।
প্রথম ওভারে টেম্বা বাভুমা ফেরার পর ছুটছেন দুই বাঁহাতি—কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশো। দ্বিতীয় ওভারের জন্য আসা মিরাজকে স্লগ সুইপ করে দুটি ছয় মেরেছেন রুশো—দ্বিতীয় বলের পর পঞ্চম বলে। আগের ওভারে হাসান মাহমুদ দিয়েছিলেন ১১ রান, মিরাজ পঞ্চম ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান। ৫ ওভার শেষে ৫৮ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।
আবার বৃষ্টি
ষষ্ঠ ওভার করতে এসেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, প্রথম দুই বলে এসেছিল দুটি সিঙ্গেল। এরপরই আবার নেমেছে বৃষ্টি। খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন আম্পায়াররা।
বৃষ্টি ও বিশ্বকাপ
১৯৯২। ২০০৩। ২০২২। প্রথম দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বৃষ্টি আর দক্ষিণ আফ্রিকার কান্না যেখানে মিলেমিশে ছিল একাকার। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম যে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে, সেটিও দক্ষিণ আফ্রিকার।
হোবার্টে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচে জয় নাগালেই ছিল প্রোটিয়াদের। যদিও জিম্বাবুইয়ানদের অভিযোগ, খেলা চালানো হয়েছিল কিছুটা জোর করেই।
গতকাল বৃষ্টি প্রভাব রেখেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়েও।
এবার ইতিহাসেরই অন্যতম আর্দ্র মৌসুম যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। বৃষ্টির প্রভাবও পড়ছে ভালোভাবেই।
সিডনিতে আজ ম্যাচের আগে নেমেছিল বৃষ্টি, তবে টস হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই। খেলা শুরুর আগে আবার বৃষ্টি নামলেও খেলাও শুরু হয় নির্ধারিত সময়ে। তবে পাওয়ারপ্লে শেষ না হতেই আবার বৃষ্টি।
আবার শুরু খেলা
প্রায় ১৭ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে খেলা। তবে ওভার কাটা যায়নি কোনো।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে মোস্তাফিজুর রহমান দিয়েছেন ৫ রান। প্রথম ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৩ রান তুলেছে ১ উইকেটে। এ বছর পাওয়ারপ্লেতে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি সর্বোচ্চ স্কোর।
ক্রিজে দুই বাঁহাতি, স্বীকৃত অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ২ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান।
এবার মোসাদ্দেক হোসেনকে এনেছেন সাকিব।
দ্বিতীয় রিভিউও হারাল বাংলাদেশ
শব্দ ছিল, উইকেটকিপার নুরুল হাসান ছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসী। রাইলি রুশোর বিপক্ষে বাংলাদেশ নিয়েছে কট বিহাইন্ডের রিভিউ। মোসাদ্দেককে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন রুশো। ওভারের শুরু থেকেই বল নিচু হচ্ছিল।
তবে বল রুশোর ব্যাট অতিক্রম করার সময় আল্ট্রা এজে স্পাইক ছিল না কোনো। আদতে বল লেগেছে রুশোর পেছনের পায়ের থাইপ্যাডে। এলবিডব্লুর ক্ষেত্রে ইমপ্যাক্ট স্টাম্পের বেশ বাইরে, স্বাভাবিকভাবেই কাজে আসেনি সেটিও।
সপ্তম ওভারেই দুটি রিভিউ হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ।
হ্যালো, ম্যাচআপ… এবং রুশোর ফিফটি
ক্রিজে দুই বাঁহাতি, এখন পর্যন্ত তাই বোলিংয়ে আসেননি সাকিব আল হাসান। মিরাজের পর এনেছেন মোসাদ্দেককে। পাওয়ারপ্লের শেষে মোস্তাফিজের ওভার থেকে বৃষ্টি-বিরতি—একটু ছন্দপতন হয়েছিল ডি কক ও রুশোর। পরের ৩ ওভারে এসেছিল ১৬ রান।
রুশো শুরু করেছিলেন, এরপর ডি ককও ঝুঁকেছেন রিভার্স সুইপের দিকে। মোসাদ্দেকের করা নবম ওভারে রিভার্স সুইপ করে চার মেরেছেন ডি কক। রুশো অবশ্য লং অন দিয়ে মেরেছেন ছক্কা।
দশম ওভারে মোস্তাফিজকে ফিরিয়েছেন সাকিব। এসেছে চারটি সিঙ্গেল, এর একটি দিয়ে ফিফটি হয়ে গেছে রুশোর। ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১ উইকেটে ৯১ রান।
সিডনিতে বাংলাদেশকে নিয়ে খেলছেন রুশো ও ডি কক
অবশেষে বোলিংয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন সাকিব। তবে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ অধিনায়ক দিয়েছেন ২১ রান! ফুলটসে নো করে এমসিজির মোহাম্মদ নেওয়াজের স্মৃতি ফিরিয়েছেন সাকিব।
ওই ওভারে ৫ রান পেনাল্টিও পেয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রি হিটে সাকিব বল করার ঠিক আগমুহূর্তে নিজের পজিশন বদলেছিলেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান।
রুশো বা ডি কক থামেননি। ডি কক পেরিয়ে গেছেন ফিফটি। সেঞ্চুরির কাছাকাছি রুশো।
নিজের তৃতীয় ওভারে ১২ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। হাসান মাহমুদের করা পরের ওভারে এসেছে ১৩ রান।
তাসকিন ফিরে আবার করেছেন নো বল, ইনিংসে এটি তৃতীয় নো তাঁর। ৮৮ রানে দাঁড়িয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন রুশো, তবে থার্ডম্যানে ছুটে এসে নাগাল পেলেও নিতে পারেননি হাসান।
১৪ ওভার শেষে ১৬৫/১।
অবশেষে ব্রেকথ্রু, তবে এর আগে রেকর্ড জুটি
বোলিংয়ে এসেছেন আফিফ হোসেন। এসেই সফল হয়েছেন। তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। ৩৮ বলে ৬৩ রান করে ফিরেছেন তিনি।
এর আগে রুশোর সঙ্গে ডি ককের জুটিতে উঠেছে ১৬৩ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে কোনো দলের যে কোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি। দক্ষিণ আফ্রিকার যে কোনো উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
স্টাবসকে ফেরালেন সাকিব
দ্বিতীয় ওভারে ফিরে সফল হলেন সাকিব। হাঁটু গেঁড়ে মেরেছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস, বল উঠেছিল বেশ। তবে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন। ১৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রুশোর সেঞ্চুরি
অফ সাইডে খেলে সিঙ্গেল। ৫২ বলে রাইলি রুশোর সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির উদ্যাপনে মিশে থাকল যেন শুধুই স্বস্তি!
বিশ্বকাপে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকানের এটি প্রথম সেঞ্চুরি।
ডেভিড মিলারের পর দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান ও সব মিলিয়ে ১৭তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একাধিক সেঞ্চুরি পেলেন রুশো। ভারতের বিপক্ষে ইন্দোরে পেয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরিটি। সে হিসেবে টানা দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেন এ বাঁহাতি।
সবচেয়ে বেশি ৪টি সেঞ্চুরি রোহিত শর্মার। ৩টি করে সেঞ্চুরি আছে তিন জনের—সাবাউন দাভিজি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কলিন মানরোর।
অবশেষে থামলেন রুশো
প্রথম ওভারের শেষ বলে বাভুমা ফেরার পর নেমেছিলেন রুশো। আউট হলেন ১৯তম ওভারে। সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে কাভারে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংসে এ বাঁহাতি মেরেছেন ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৫/৫, ২০ ওভার
শেষ ওভারে হাসানের ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড স্লোয়ারে ক্যাচ তুলেছেন এইডেন মার্করাম। শেষ ওভারে উঠেছে ১২ রান। শেষ ৫ ওভারে উঠেছে ২৯ রান। ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৫ উইকেটে ২০৫ রান।
প্রথম ওভারে টেম্বা বাভুমাকে হারিয়ে গিয়ে শুরুতেই চাপে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশোর ১৬৩ রানের জুটি তাদের নিয়ে যাচ্ছিল বিশাল স্কোরের দিকে। শেষ পর্যন্ত ২০০ পেরিয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, যদিও নাগালে ছিল আরও বেশি।
সেটি হয়নি ডেথ ওভারে বাংলাদেশের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে। উইকেটে গতির বৈচিত্র ব্যবহার করেছেন তারা ভালোভাবে। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৫ রান।
এর সমান বা বেশি রান তাড়া করে বাংলাদেশ এর আগে জিতেছে একবারই। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।
প্রথম ওভারে ১৭
কাগিসো রাবাদার ফুললেংথের দুটি বল, সৌম্য সরকারের দুটি ফ্লিক, দুটি ছক্কা! দ্বিতীয় বলে চার মেরেছিলেন নাজমুল হোসেন। প্রথম ওভারেই উঠেছে ১৭ রান। রান তাড়ায় দারুণ শুরু বাংলাদেশের।
নর্কিয়ার শিকার সৌম্য
আনরিখ নর্কিয়া এলেন, উইকেট পেলেন প্রথম বলেই। সৌম্য সরকারের স্লটেই ছিল বলটি, তবে আড়াআড়ি খেলার চেষ্টায় সফল হননি। বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন কট বিহাইন্ড হয়ে, ৬ বলে ১৫ রান করে। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে ২৬ রানে।
৪ বল, ২ উইকেট
ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার গতির বল। নাজমুল আড়াআড়ি মারতে গিয়ে হারালেন স্টাম্প। ৪ বলের মধ্যেই ফিরলেন দুই ওপেনার। প্রথম ওভারে সৌম্য যে শুরু এনে দিয়েছিলেন, খুব একটা কাজে এলো না সেটি। নাজমুল করেছেন ৯ বলে ৯ রান।
সৌম্য বা নাজমুল, দুজনই সোজা ব্যাটে খেললে পেতে পারতেন বড় শট। তবে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন দুজনই।
১০ বল, ৩ উইকেট
আনরিখ নর্কিয়ার গতির জবাব দিতে পারছে না বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলারের সর্বশেষ শিকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটি আঘাত হেনেছে সাকিবের প্যাডে, জায়গা বানিয়ে ফ্লিক খেলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আম্পায়ার রড টাকারের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করার প্রয়োজন মনে করেননি সাকিব। ৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১.৪ ওভার বোলিং করেই ৩টি উইকেট নিলেন নর্কিয়া।
রিভিউ নিলে অবশ্য বেঁচে যেতেন সাকিব। বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরেই।
এবার রাবাদার শিকার আফিফ
রাবাদার গতি ও বাউন্স। আফিফ হোসেনের কাছে কোনো জবাব নেই। তুলে মারার চেষ্টা করেছিলেন, ক্যাচ গেছে মিডঅনে। ধরেছেন নর্কিয়া। সিডনিতে চলছে নর্কিয়া-রাবাদা শো। ৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, পাওয়ারপ্লের মধ্যেই। পাওয়ারপ্লে শেষেও স্কোর ৪৭/৪।
১৮ রানে জীবন লিটনের
জীবন পেলেন লিটন দাস। তবে এখন পর্যন্ত ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে খুব বেশি পার্থক্য গড়তে পারছে না সেটি!
রাবাদার শর্ট বলে পুল করেছিলেন লিটন। ডিপ মিডউইকেটে থাকা ট্রিস্টান স্টাবসের চোখে সানগ্লাস ছিল, তবে ঠিক বিপরীতে থাকা সূর্যের আলোয় বল হারিয়ে ফেলেছিলেন। হাত বন্ধ করেছেন আগেভাগেই, সেটি লেগেছে আঙুলে।
৮ ওভারে বাংলাদেশ ৫৬/৪।
বাংলাদেশের সমর্থন আছে, কিন্তু...
মিরাজ ক মার্করাম ব শামসি
আজ দুই দলই খেলিয়েছে বাড়তি একজন স্পিনার। মিরাজ সুযোগ পেয়েছেন, পেয়েছেন তাব্রেইজ শামসিও। সেই শামসির প্রথম ওভারেই ওয়াইড লং অনে ক্যাচ তুলে ফিরলেন ছয়ে নামা মিরাজ।
এবার সফল মহারাজ
নেমেই কেশব মহারাজের ওপর চড়াও হতে গিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ইনসাইড আউট শট। তবে মিস করে গেছেন। উইকেট ভাঙতে কুইন্টন ডি কক পেয়েছেন পর্যাপ্ত সময়। বাংলাদেশ হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট।
স্টাবসের সেই মিস
শামসির দ্বিতীয়
এবার আর সূর্যের আলো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা ফিল্ডারের। তাব্রেইজ শামসির বলে আগবাড়িয়ে সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন নুরুল হাসান। সিডনির বৃষ্টির চেয়েও নিয়মিত বিরতিতে পড়ছে বাংলাদেশের উইকেট।
ফিরলেন লিটনও
ফুললেংথ। সুইপ। সামনে ঝুঁকে ক্যাচ। ট্রিস্টান স্টাবস এবার আর ভুল করেননি। তাব্রেইজ শামসি পেয়েছেন নিজের তৃতীয় উইকেট। ফিরেছেন লিটন দাস। অষ্টম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রিজে হাসান মাহমুদ
১৪তম ওভার। ক্রিজে হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। বাকিটা বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আপনার।
শুধু একটি ছবি...
চারের পর রানআউট
সামনে আনরিখ নর্কিয়া। মিড অন ওপরে। পিক-আপ শট। চার! নর্কিয়ার ওপর ‘চড়াও’ হলেন তাসকিন। অবশ্য হাসানের সঙ্গে তাঁর জুটি ‘বড়’ হলো না, পরের বলেই স্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হয়ে গেছেন হাসান। বাংলাদেশের বাকি ১ উইকেট।
ব্রেকিং নিউজ
তাব্রেইজ শামসির বলে ৯০ মিটার ছক্কা মেরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্লটে পেয়েছিলেন, স্লগ করে পার করেছেন কাউ কর্নার। পরের বলে মোস্তাফিজের নেওয়া সিঙ্গেলে ১০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
নিজেদের রেকর্ড ভেঙে হারল বাংলাদেশ
প্রথম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে পরপর দুটি ছক্কা মেরেছিলেন সৌম্য সরকার। দারুণ দুটি ফ্লিকে টাইমিং ছিল অসাধারণ। প্রথম ওভারে উঠেছিল ১৭ রান।
এরপর বাংলাদেশ সমর্থক হিসেবে যদি কোনো আশা পেয়ে থাকেন আপনি, তাহলে ভুল করেছেন। আনরিখ নর্কিয়া শিগগির বুঝিয়ে দিয়েছেন সেটি। নর্কিয়ার প্রথম ৪ বলের মধ্যে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার, প্রথম ১০ বলের মধ্যে ফিরে গেছেন সাকিব। বাংলাদেশ সেই যে পথ হারিয়েছে, খুঁজে পায়নি আর।
শেষে এসে তাসকিনকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেটটি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ফাস্ট বোলার নর্কিয়া। মাঝে তাব্রেইজ শামসি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
২০৫ রান তাড়ায় বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১০১ রানেই, ১৭তম ওভারে। সিডনিতে আজ বাংলাদেশ হারল ১০৪ রানে। রানের হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার এটি এখন। করাচিতে ২০০৮ সালে ২০৩ রান তাড়ায় ১০১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এতদিন রানের হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হারের ব্যবধান ছিল সেটিই—১০২ রান। রানের হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
এ ম্যাচশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রানরেট এখন ৫.২০০! ২ ম্যাচে ১ জয় পাওয়া বাংলাদেশের রান রেট -২.৩৭৫।
ম্যাচসেরা রাইলি রুশো
রাইলি রুশো করেছেন ১০৯ রান। বাংলাদেশ থেমেছে ১০১ রানেই। আর কিছু বলতে হবে?
বলছেন সাকিব
প্রথম ওভারের পর থেকে নিজেদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে পারিনি আমরা। রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি ককের জুটি আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। এ বিশ্বকাপে দেখেছি, যারা প্রথম ১০ ওভারে উইকেট ধরে রাখছে, তারা ভালো করেছে।