কী হচ্ছে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে!
উইম্বলডনের ম্যাচ। নোভাক জোকোভিচ কিনা হেরে গেছেন প্রথম দুই সেটেই। সেই উইম্বলডন, যেখানে ২০১৭ সালের পর কোনো ম্যাচ হারেননি জোকোভিচ। টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন সেই জোকোভিচ কি এবার বিদায় নেবেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই?
নামটা জোকোভিচ বলেই, তাঁর ভক্তরা বিশ্বাস হারাননি। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কত ম্যাচ শেষেই তো শেষ হাসি হেসেছেন জোকোভিচ। ব্যতিক্রম হলো না আজও। উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির ইয়ানিক সিন্নারকে ৫–৭, ২–৬, ৬–৩, ৬–২, ৬–২ গেমে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেলেন ২০ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। সেই সিন্নার, যিনি কিনা জোকোভিচের পর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এটিপি ট্যুরে প্রথম পাঁচটি শিরোপা জয়ের কীর্ত গড়েছেন।
প্রথম দুই সেটে শীর্ষ বাছাই জোকোভিচকে প্রায় ‘অচেনা’ এক খেলোয়াড় বানিয়ে ফেলেছিলেন ২০ বছর বয়সী সিন্নার। তবে পরের তিন সেটে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসেন ৩৫ বছর বয়সী জোকোভিচ। দুজনের অভিজ্ঞতার বিস্তর ব্যবধানটাও বুঝিয়ে দেন তিনি। তবে চতুর্থ সেটে সিন্নারের চোটে পড়াটাও পার্থক্য গড়েছে। সিন্নার না খেলা ছেড়েই দিয়েই চলে যান, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। নেটের ও পাশ থেকে জোকোভিচও চলে গিয়েছিলেন সিন্নারের কাছে।
পঞ্চম সেটের সপ্তম গেমে স্লাইড করে অবিশ্বাস্য এক ব্যাকহ্যান্ড উইনারে ব্রেক পয়েন্ট জিতে দুই হাত দুই পাশে ছড়িয়ে সুপারম্যানের মতো মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন জোকোভিচ। পুরো ম্যাচের বিজ্ঞাপন হিসেবেই চালিয়ে দেওয়া যায় মুহূর্তটিকে। দশম বাছাই সিন্নার তখনই যেন বুঝে গিয়েছিলেন ম্যাচ জিততে কী অসাধ্যই না সাধন করতে হবে।
সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের ডেভিড গফিন কিংবা ব্রিটেনের ক্যামেরন নরিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবেন জোকোভিচ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পুরুষ এককের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে একটি করে সেট জিতেছেন গফিন ও নরি।