অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম সেটে নোভাক জোকোভিচকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন টেলর ফ্রিটজ। শেষ পর্যন্ত ৭-৬ (৭/৩) গেমে সেই সেট জিতে কোনোরকমে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন সার্বিয়ান মহাতারকা।
মেলবোর্নের গরমে প্রথম সেটে হারতে হারতে পার পেলেও দ্বিতীয় সেটে আর পারেননি জোকোভিচ। এবার ফ্রিটজের কাছে ৬-৪ গেমে হার মানেন শীর্ষ বাছাই জোকোভিচ। নড়বড়ে শুরুর পর দাপটের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানো অবশ্য জোকোভিচের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেকবার পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস আছে তাঁর।
এবার অবশ্য ১-১ সমতা থাকতেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করে ফিরে আসেন জোকোভিচ। শেষ দুই সেটে ২৪ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা জোকোভিচের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ১২তম বাছাই মার্কিন খোলোয়াড় ফ্রিটজ। শেষ দুই সেট ৬–২, ৬–৩ গেমে জিতে পৌঁছে গেছেন আরেকটি গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে।
২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে গেলে মার্গারেট কোর্টকে পেছনে ফেলে নারী–পুরুষ মিলিয়েই এককভাবে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হয়ে যাবেন জোকোভিচ। সেমিফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ইয়ানিক সিনার কিংবা আন্দ্রেই রুবলেভ।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বরাবরই জোকোভিচের পছন্দের মঞ্চ। ২০১৮ সালের পর থেকে এখানে কখনোই তিনি হারেননি। এর মধ্যে জিতেছেন ৩৩টি ম্যাচ। আর এটি তাঁর ১১তম সেমিফাইনালও বটে। এর আগে যে ১০ বার তিনি মেলবোর্ন পার্কে শেষ চারে উঠেছেন, প্রতিবারই ট্রফি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
ফ্রিটজকে হারানোর পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘আজ প্রথম দুই সেটে আমি ভুগেছি। টেনিসের মানও অবশ্য বেশ উঁচু ছিল। সঠিক টাইমিং খুঁজে পেতে আমাকে বেশ কষ্ট করতে হচ্ছিল। আর গরমও ছিল অনেক বেশি। শারীরিক ও মানসিকভাবে শুষে নিচ্ছিল আমাকে। আজকের পারফরম্যান্সের জন্য ফ্রিটজকে সাধুবাদ জানাই। সে দারুণ টেনিস খেলেছে।’
সেমিফাইনালে সম্ভাব্য প্রতিপক্ষদের নিয়ে জোকোভিচ আরও বলেন, ‘আলাদা একটি ম্যাচ হবে। অবশ্যই সিনার এবং রুবলেভ দুজনই দারুণ ছন্দে আছে।’