মা হতে চলেছেন নাওমি ওসাকা, টেনিসে ফিরবেন ২০২৪ সালে
নাওমি ওসাকা গত রোববার নাম প্রত্যাহার করে নেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে। নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাননি তখন। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই টেনিস থেকে দূরে ছিলেন জাপানের এই সাবেক নাম্বার ওয়ান। চার মাস আগে টোকিওতে প্যান প্যাসিফিক টেনিসে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে সরে গিয়েছিলেন তলপেটে ব্যথা নিয়ে। কাল সকালে ওসাকা এক টুইটে জানিয়েছেন, মা হতে চলেছেন তিনি। এ জন্য ২০২৪ সালের শুরুর ভাগ পর্যন্ত টেনিসে তাঁকে দেখা যাবে না।
টুইটারে ওসাকা মা হতে যাওয়ার খবরটা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমি জানি আমার সামনে অনেক কিছুই আছে। তবে একটা জিনিস নিয়ে আমাকে ভাবতে হচ্ছে, তা আমার সন্তান। সে যেন আমার ম্যাচ দেখে অন্যদের গল্প বলতে পারে। সে যেন বলতে পারে, এই যে খেলতে দেখছ না, ও আমার মা।’ এই পোস্টের সঙ্গে ওসাকা মা হতে যাওয়ার একটি স্ক্যানের ছবিও পোস্ট করেন।
২৫ বছর বয়সী এই তারকা টুইটে আরও লিখেছেন, ‘২০২৩ সালটা আমার অনেক কিছু শেখার বছর। আমি আশা করছি আপনাদের সবার সঙ্গে আমার আসছে বছরের শুরুর দিকে দেখা হবে। ২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে ফিরব আমি। সবাইকে ভালোবাসি।’
২০১৯ সালে ওসাকা বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। ২৫ বছর বয়সী এই তারকা যখন সেপ্টেম্বর মাসে টোকিও প্যান প্যাসিফিক টেনিস থেকে তলপেটের ব্যথা নিয়ে সরে দাঁড়ালেন, তখন অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে ওসাকা নিজে কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়ায় বিভ্রান্তিও বাড়ছিল। জাপানি এই টেনিস তারকা বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ মুহূর্তে তিনি র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ৪৭তম নারী টেনিস তারকা।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেন মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত চারটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন ওসাকা। ২০১৮ ও ২০২০ সালে জিতেছেন ইউএস ওপেন। ২০১৯ ও ২০২১ সালে জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। তিনি এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী টেনিস তারকা। তবে তাঁর বাণিজ্যিক সফলতা এখনো পুরোপুরিভাবে টেনিস কোর্টে প্রতিফলিত নয়।
২০২১ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে একটি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে না এসে বিতর্ক ছড়িয়েছিলেন ওসাকা। কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিষিদ্ধ করারও হুমকি দিয়েছিল। কারণ, ফ্রেঞ্চ ওপেনে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলন করাটা একজন খেলোয়াড়ের চুক্তিরই অংশ। ওসাকা পরে টুর্নামেন্ট থেকেই নাম প্রত্যাহার করে নেন। তখন জানিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ইউএস ওপেন থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন।