জোকোভিচ-আলকারাজ মানেই যেন ধুন্ধুমার টেনিস লড়াই
ইউএস ওপেন ফাইনালের মহড়া? বলাই যায়। টেনিসের হাল জমানায় ফেবারিট বলতে তো তাঁরাই দুজন—নোভাক জোকোভিচ ও কার্লোস আলকারাজ। গতকাল সিনসিনাটি মাস্টার্সের ফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়েছেন দুই তারকা। ৩ ঘণ্টা ৪৯ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পর জিতেছেন জোকোভিচ। ছেলেদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম এককজয়ী জোকোভিচ জিতেছেন ৫-৭, ৭-৬ (৯/৭), ৭-৬ (৭/৪) গেমে। দ্বিতীয় সেটে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। এটিপির ইতিহাসে এটাই দীর্ঘতম তিন সেটের ফাইনাল।
কোর্ট যা–ই হোক, সাম্প্রতিক সময়ে জোকোভিচ-আলকারাজ লড়াই রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। বেশি দিন আগের কথা নয়, পাঁচ সপ্তাহ আগেই উইম্বলডনে ঘাসের কোর্টে ফাইনালে রোমাঞ্চকর পাঁচ সেটের লড়াইয়ে জোকোভিচকে হারিয়েছিলেন আলকারাজ।
এরপর কাল হার্ড কোর্টে ২০ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকার বিপক্ষে প্রথম মুখোমুখিতে প্রতিশোধ নিলেন জোকোভিচ। এটিপি মাস্টার্সে এটি তাঁর ৩৯তম শিরোপা।
ইউএস ওপেন শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে। তার আগে সিনসিনাটিতে রোমাঞ্চকর এই ফাইনাল যেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টের ‘সম্ভাব্য’ ফাইনালেরই মহড়া!
ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় আলকারাজ ও দ্বিতীয় জোকোভিচকেই ইউএস ওপেনের ফাইনালে দেখছেন অনেকেই। সেই প্রত্যাশার পারদ আরও চড়িয়েছে সিনসিনাটি মাস্টার্সের ফাইনাল।
এই জয়কে ২০১২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফাইনাল জয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন জোকোভিচ। সে ম্যাচে স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালকে ৫ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের লড়াইয়ে হারিয়েছিলেন সার্বিয়ান তারকা, ‘প্রতিটি পয়েন্টই প্রাণান্ত লড়াই করে জিততে হয়েছে। প্রতিটি শটও, কন্ডিশন যা–ই হোক না কেন। কোর্টে তার (আলকারাজ) বিপক্ষে এটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’
জোকোভিচ মনে করেন এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচ তিনি ক্যারিয়ারে খুব বেশি খেলেননি। আলকারাজের মুখোমুখি হয়ে জোকোভিচের বরাবরই নাদালের সঙ্গে দ্বৈরথ মনে পড়ে। এর আগেও তা বলেছেন, সিনসিনাটি ওপেন জেতার পরও পুনরাবৃত্তি ঘটল সে কথার, ‘নিজেদের সেরা সময়ে যখন নাদালের মুখোমুখি হতাম, তার (আলকারাজ) বিপক্ষে খেললে তেমনই মনে হয়। আমার মনে হয় না জীবনে এমন ম্যাচ খুব বেশি খেলেছি।’
গত জুনে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে ছেলেদের টেনিসে রাফায়েল নাদালকে টপকে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড গড়েন জোকোভিচ। ১৭ বছরে ৫৯ বার নাদালের মুখোমুখি হয়ে ৩০-২৯ ব্যবধানে এগিয়ে সার্বিয়ান তারকা।
আলকারাজের সঙ্গে হার-জিতের পরিসংখ্যানে আপাতত ২-২ ব্যবধানে সমতায়। হারলেও র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান নিয়েই ইউএস ওপেনে নামবেন আলকারাজ। তবে ইউএস ওপেনে এক ম্যাচ জিতলেই আলকারাজকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থান পুনরুদ্ধার করবেন জোকোভিচ।