মালদ্বীপের বিপক্ষে পরশু ফিরতি ম্যাচে বাংলাদেশের ২-১ গোলের জয়ে প্রথম গোল আপনার। ম্যাচ শেষে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা বলেছেন। এখন কেমন লাগছে?
রাকিব হোসেন: খুবই ভালো। জানতাম, মালদ্বীপের সঙ্গে ফিরতি ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। মালদ্বীপ শক্তিশালী দল। ওদের হারিয়ে আমরা মূল বাছাইপর্বে উঠতে পেরেছি। এটা দারুণ অনুভূতি। সবাই এতে স্বস্তি পাচ্ছি।
নিজের ভুলগুলো শোধরাতে পারলে এই রাকিবের চেয়ে আরও পরিণত রাকিবকে সামনে দেখা যাবে। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।রাকিব হোসেন, ফরোয়ার্ড, বাংলাদেশ
মালদ্বীপের গোলকিপারকে একা পেয়েও দ্বিতীয় গোলটা পাননি। একটু কি খারাপও লাগছে?
রাকিব: একটু তো লাগছেই। তবে শেষ পর্যন্ত গোল পেয়েছি, এটাই আনন্দের। বেশি ভালো লাগছে দর্শকদের খুশি করতে পেরেছি বলে। তারা পুরো ম্যাচে আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। চাইব সামনের ম্যাচগুলোতেও এভাবে যেন সমর্থন পাই।
২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ দিয়ে আপনার জাতীয় দলে অভিষেক। বাংলাদেশের বর্তমান দলে সর্বোচ্চ ৫টি গোল আপনার। কীভাবে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এলেন?
রাকিব: অবশ্যই পরিশ্রমের কল্যাণে। তবে স্কোরিং নিয়ে আমাকে আরও কাজ করতে হবে। সুযোগ যা পেয়েছি, সব কাজে লাগাতে পারিনি। পারলে বেশি খুশি হতাম। সামনে এসব ভুল করা যাবে না।
বাংলাদেশ কোচ এখন প্রথাগত নাম্বার নাইন খেলাচ্ছেন না। গোলের জন্য কোচ আপনার ওপর একটু বেশি নির্ভরশীল। চাপ অনুভব করেন?
রাকিব: আমি মূলত রাইট উইংয়ে খেলি। মাথায় থাকে গোল করতে হবে। এটাকে চাপ বলব না। বরং দল আমার কাছে গোল চায়, এটা আরও উজ্জীবিত করে।
মালদ্বীপের কোচ আলী সুজাইন তাঁর দলের জন্য আপনাকেই হুমকি বলেছিলেন। বিশ্বকাপ প্রাক্–বাছাইয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে দুটি ম্যাচেই আপনি ম্যাচসেরা। এটা তো দারুণ ব্যাপার...
রাকিব: হ্যাঁ, পরপর দুই ম্যাচে আমি সেরা হয়েছি। এটা আমাকে সামনে এগিয়ে দেবে। আসলে মালদ্বীপে প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করার পরই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আগে আমরা ওদের সঙ্গে খেলতে ভয় পেতাম। এখন সেই ভয়টা নেই। এখন লক্ষ্য থাকে জয়। জানতাম, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেললে জয় আসবে।
গত সাফে বাংলাদেশের গোলকিপার সেরা গোলকিপার হয়েছেন। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আপনাকেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবলার বলেছেন। আপনি কী মনে করেন?
রাকিব: সবারই স্বপ্ন ভালো একটা জায়গায় যাওয়া। বাফুফে সভাপতি যেমন বলেছেন, আমিও চাই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হতে। নিজের ভুলগুলো শোধরাতে পারলে এই রাকিবের চেয়ে আরও পরিণত রাকিবকে সামনে দেখা যাবে। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট কোনটা?
রাকিব: ঘরোয়া ফুটবলে চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেওয়া। সেখানে কোচ মারুফুল হক স্যারের অধীন আমার অনেক উন্নতি হয়েছে। তিনি আলাদাভাবে আমার ক্লাস নিতেন। কোচ গোলাম জিলানী স্যারের কথাও বলব। রহমতগঞ্জে থাকার সময় তিনিও অনেক সহায়তা করেছেন। আজকের রাকিব হয়ে উঠতে এই দুজন মানুষ খুব সহায়তা করেছেন আমাকে।