বোনের পর সোনা জিতলেন ভাইও
তিন বছর আগেই এমন কিছুর স্বাদ দিয়েছিলেন দুজন। বিশ্বে চ্যাম্পিয়নশিপে একই দিনে জুডোর দুটি ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন উতা আবে ও হিফুমি আবে। ১৮ বছর ২ মাস বয়সে সোনা জিতে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ জাপানিজ নারী হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন উতা। বাকুতে এর ঘণ্টাখানেক পরেই সোনা জিতেছিলেন তাঁর ভাই হিফুমি।
আজ অলিম্পিকেও সে কীর্তি হয়ে গেল তাঁদের। মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে প্রথমে সোনা জিতেছেন ২১ বছর বয়সী উতা। এক ঘণ্টা পরেই আবে পরিবারের দ্বিতীয় অলিম্পিক সোনা চলে এসেছে। ছেলেদের ৬৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেছেন উতার ভাই হিফুমি।
পাঁচ বছর বয়সেই জুডোতে মন দিয়েছিলেন উতা। কারণ, তাঁর বড় ভাই এর আগেই জুডোতে পা রেখেছেন। ভাইবোনের খেলার ধরনটাও তাই একই রকম। পয়েন্ট পেয়ে জেতার চেয়ে ইপ্পন পেয়েই জেতার চেষ্টা থাকে। জুডোর ইপ্পন বক্সিংয়ের নকআউটের মতো।
তিপক্ষকে নকআউট করে জেতার চেষ্টার পেছনে ভাইকেই অনুপ্রেরণা মানেন। অলিম্পিকের আগে এক সাক্ষাৎকারে উতা বলেছিলেন, তাঁর খেলার ‘৭০ ভাগ’ই ভাইয়ের অনুসরণ, ‘আমার বড় ভাই ছাড়া কখনোই এত দূর আসতে পারতাম না। সে না থাকলে আমি জুডো শিখতাম কি না, সেটা বলাও সম্ভব না।’
যদিও হিফুমি এবার অলিম্পিক খেলবেন কি না, এ নিয়ে সন্দেহ জেগেছিল। গত ডিসেম্বরে জাপানের ১৪ সদস্যের জুডো দলের একদম শেষ সদস্য হিসেবে দলে ঢুকেছেন হিফুমি। সেটাও হয়েছে অনেক নাটক করে। ৬৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জশিরো মারুইয়ামা ও হিফুমির মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নিতে হতো।
এ অবস্থায় জাপানের জুডোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি একক ম্যাচের বাছাইপর্ব হয়েছিল। চার মিনিটের নির্ধারিত সময়ে কেউ কাউকে হারাতে পারেননি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ২০ মিনিটের গোল্ডেন স্কোরে। সেখানে ওয়াজা-আরিতে (জুডোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এনে দেওয়া মার) ম্যাচ জিতে নেন হিফুমি।
আজ ভাই-বোন দুজনের সোনা জেতার ব্যাপারে আগেই হুংকার ছুড়েছিলেন উতা আবে, ‘আমরা দুজন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমি এখনই শিরোপার ছবি কল্পনা করতে পারছি।’