মহাসচিব ছাড়াই চলছে বাংলাদেশের শুটিং
প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশ ক্রীড়া দলের শেফ দ্য মিশন ছিলেন শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ। কিন্তু অলিম্পিক শেষ হয়ে গেলেও তিনি দেশে ফেরেননি। জানা গেছে, সদ্য সাবেক সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ছোট ভাই ইন্তেখাব প্যারিস থেকে গেছেন সিঙ্গাপুরে। তিনি কবে দেশে ফিরবেন, সে ব্যাপারে কেউই কিছু জানেন না। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন উপমহাসচিব (১) লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আলী।
অবশ্য মহাসচিব দেশে না থাকলেও শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। স্বাভাবিক দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে চলছে ৩০ শুটারকে নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরও। আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে মার্শাল আর্ট ইনডোর গেমসে শুটিংয়ের পিস্তল ইভেন্টে অংশ নেবে বাংলাদেশ। একই সময়ে ব্যাংককেই আছে এশিয়ান এয়ারগান প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ সেখানে রাইফেল ও পিস্তল—দুই ইভেন্টে অংশ নেবে। ফেডারেশনের উপমহাসচিব (২) মুশতাক ওয়াইজ জানিয়েছেন চলমান অনুশীলন ক্যাম্প দুটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হলেও ওই প্রতিযোগিতারও প্রস্তুতি, ‘এমনিতে অনুশীলনটা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। তবে যেহেতু সামনে দুটি প্রতিযোগিতা আছে, আমরা সেটিও মাথায় রেখেছি।’
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ইরানি কোচ জায়ের রেজাই দেশে ফিরে গেছেন। অনুশীলন ক্যাম্পে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন দেশের দুই সাবেক শুটার শাকিল আহমেদ ও শারমিন রত্না। তবে মুশতাক জানিয়েছেন, ইরানি কোচের নতুন ভিসার চেষ্টা চলছে। ভিসা পেলে তিনি আবার আসবেন।
সরকার পতনের পর বিভিন্ন ফেডারেশনে এত দিনের বঞ্চিতদের মহড়া দেখা গেছে। শুটিং ফেডারেশনেও সরকার পতনের পরদিন বিরোধীপক্ষ মহড়া দিয়েছে। ফেডারেশনের উপমহাসচিব বলেছেন, ‘বিরোধীপক্ষ এসে হইচই করেছে, তবে আমরা তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছি। সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু ফেডারেশনের কার্যক্রম তো আর বন্ধ করা যাবে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা ফেডারেশনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ, দেশের কয়েকটি রাইফেল ক্লাব লুটের ঘটনা ঘটেছে। তবে সভাপতি মহোদয়ের (লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারোয়ার হাসান) সার্বিক তত্ত্বাবধানে অমন কিছু ঘটেনি।’