এ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে যে ফ্লাডলাইটের কাজ শেষ হচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত। এ মাঠে ফেব্রুয়ারিতে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন নিয়েও তাই দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
ফ্লাডলাইট লাগানোর কাজ সাফের আগেই শেষ করার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) তাগাদা দিয়েছে বাফুফে। সাফে যেহেতু দিনে দুটি করে ম্যাচ আয়োজন করতে হবে, ফ্লাডলাইট না থাকলে তা সম্ভব নয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাই দ্রুততার সঙ্গে ফ্লাডলাইটের কাজ শেষ করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে।
আজ দুপুরে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন। ফ্লাডলাইট কীভাবে, কোথায় স্থাপন করা হবে, সে ব্যাপারে মতামত দেবেন তাঁরা। প্রথমে কথা ছিল ফ্লাডলাইটের জন্য নতুন করে ছয়টি টাওয়ার নির্মাণ করে সেখানে মেটাল হ্যালাইড বাল্ব স্থাপন করা হবে। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এলইডি বাল্ব স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকায় ছয়টি টাওয়ার স্থাপনের জায়গা না হওয়ায় বর্তমানের চার টাওয়ারেই এই বাল্ব লাগানো হবে। তবে এলইডি বাল্বের ব্যাসার্ধ ও ওজন মেটাল হ্যালাইডের চেয়ে বেশি হওয়ায় টাওয়ারের পাশাপাশি কিছু বাল্ব গ্যালারির ওপরে ক্যানোপিতেও লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল মূলত এর কারিগরি দিকটিই যাচাই করে দেখবে।
এ ব্যাপারে বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান অধ্যাপক রাকিব আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৫ বছরের পুরোনো টাওয়ার এলইডি বাল্বের ওজন নেওয়ায় কতটা সক্ষম, সেটি মূল্যায়ন করে দেখতে হবে। আমরা এনএসসির কাছে টাওয়ারের নকশা চেয়েছি। কিন্তু সেটি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই নতুন করে কাজ করতে হবে। টাওয়ারের পাশাপাশি ক্যানোপিতে বাল্ব লাগানোর প্রস্তাবও যাচাই করব। এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শামসুল আলম অবশ্য আশাবাদী, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তাঁরা কাজ শেষ করতে পারবেন। একই আশা বাফুফের নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তারের, ‘আমরা এনএসসিকে বলেছি ফ্লাডলাইটের কাজ যেন ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করা হয়। না হলে সাফ আয়োজন নিয়ে সমস্যা হবে। কারণ আমাদের দিনে দুটি ম্যাচ আয়োজন করতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের জন্য স্পেন থেকে আমদানি করা হচ্ছে ফিলিপস ব্র্যান্ডের এলইডি বাল্ব। স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজে ব্যয় হচ্ছে ১৫৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফ্লাডলাইট বাবদ ব্যয় ৩৯ কোটি টাকা।