বাবার রেকর্ড ভেঙেও রাখতে পারলেন না ছেলে

মাইকোলাস আলেকনাএএফপি

পিতা–মাতার পথ অনুসরণ করা সহজ নয়। কারও কারও জন্য তো দুর্লঙ্ঘ্য চ্যালেঞ্জও। জিজ্ঞেস করতে পারেন লেব্রন জেমসের ছেলে ব্রুনি জেমস কিংবা শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারকে। সবার ক্ষেত্রে অবশ্য অভিজ্ঞতা এক নয়। মাইকোলাস আলেকনা যেমন বলতে পারেন, এ আর এমন কী! বাবার রেকর্ডটাও তো আমার সামনে টিকল না!

আরও পড়ুন

মাইকোলাসের নিজের রেকর্ডও টেকেনি। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আসল কথাটা বলে ফেলা যাক। প্যারিস অলিম্পিকে পরশু রাতে ছেলেদের ডিসকাস থ্রোয়ে সোনা জিতেছেন জ্যামাইকার রোজে স্টোনা। ৭০.০০ মিটার দূরত্বে ডিসকাস ছুড়ে নতুন অলিম্পিক রেকর্ডসহ সোনা জেতেন তিনি। এই পথে তিনি ভেঙেছেন মাইকোলাসের রেকর্ড। নিজের দ্বিতীয় থ্রোয়ে ৬৯.৯৭ মিটার দূরত্ব পার করে রেকর্ডটি গড়েছিলেন লিথুয়ানিয়ান অ্যাথলেট। আর তাতে ভেঙেছিলেন বাবা ভিরিজিলিয়ুস আলেকনার অলিম্পিকে গড়া রেকর্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি পরিবারের মধ্যে মাইকোলাস রাখতে পারেননি, জিততে পারেননি সোনাও। রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মাইকোলাসকে।

২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে ছেলেদের ডিসকাস থ্রোয়ে ৬৯.৮৯ মিটার দূরত্ব পার করে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি সোনা জিতেছিলেন ভিরিজিলিয়ুস। মাইকোলাস বাবার সে রেকর্ড ভাঙলেও পরে তাঁর কাছ থেকে তা কেড়ে নেন স্টোনা।

আরও পড়ুন

ভিরিজিলিয়ুস ডিসকাসে দুবারের অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ১৯৮৬ সালে জার্মানির ইয়ুর্গেন শুল্টের গড়া বিশ্ব রেকর্ডটি (৭৪.০৮ মিটার) ভাঙতে ক্যারিয়ারের পুরো সময়জুড়ে চেষ্টা করেন ভিরিজিলিয়ুস। তিনি না পারলেও তাঁর ছেলে মাইকোলাস গত এপ্রিলে শুল্টারের সেই রেকর্ড (৭৪.৩৫ মিটার) ভাঙেন। তবে পরশু রাতে ছেলের রুপা জয় এবং অলিম্পিক রেকর্ড হারানোটা গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন ভিরিজিলিয়ুস।

মাইকোলাস শেষ পর্যন্ত অবশ্য সোনা জিততে পারেননি
এএফপি

ডিসকাস থ্রো মাইকোলাসের রক্তেই। বাবা তো ছিলেনই, বড় ভাই মার্তিনাসও ডিসকাস থ্রোয়ার। বোন গ্যাব্রিয়েল আলেকনাইতে অবশ্য বাবা ও ভাইদের পথে হাঁটেননি। তিনি লং জাম্পার। শৈশবে অবশ্য মাইকোলাসও ফুটবল আর হাই জাম্পের দিকে ঝুঁকেছিলেন। একটু বড় হয়ে ওঠার পর ১৬ বছর বয়সে শুরু করেন ডিসকাস থ্রো। বাবাকে নিয়ে মাইকোলাস বলেছেন, ‘বাবা অনেক বড় আদর্শ। তিনি কিংবদন্তি থ্রোয়ার। একদিন তাঁর মতো হতে চাই। কিংবা তাঁর চেয়েও বড়? দেখা যাক।’

মাইকোলাস রেকর্ড বইয়ে বাবাকে ছাড়িয়ে গেছেন এখনই। শুল্টারকে পেছনে ফেলে সর্বকালের সেরা তিনটি থ্রোয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠে বাবাকে ঠেলেছেন তালিকার তিনে।