অলিম্পিকে আবারও ইসরায়েলের অ্যাথলেটদের হুমকি

ছবিতে ইসরায়েলের অলিম্পিক বহরএএফপি

প্যারিস অলিম্পিকে আবারও হুমকি পেলেন ইসরায়েলের অ্যাথলেটরা। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) ইসরায়েলের অলিম্পিক কমিটির সভাপতি ইয়ায়েল আরাদ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মানসিক উদ্বেগ ছড়িয়ে দিতে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের তিন অ্যাথলেট মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন। প্যারিসে ফ্রান্সের আইন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার পাশাপাশি ইসরায়েল ও প্যারাগুয়ের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচে সম্ভাব্য ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ অপরাধেরও তদন্তে নামার কথা জানিয়েছে ফরাসি পুলিশ। ইসরায়েলের কয়েকজন অ্যাথলেটের ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস করা হয়েছিল। সে ঘটনারও তদন্ত করছে সাইবার ক্রাইম এজেন্সি।

আরও পড়ুন

হুমকি পাওয়া অ্যাথলেটদের মধ্যে আছেন উইন্ড সার্ফিংয়ে সোনা জেতা ২৪ বছর বয়সী ইসরায়েলি অ্যাথলেট টম রিভেনি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, খেলাধুলায় রাজনীতি যুক্ত থাকা উচিত নয়, বিশেষ করে অলিম্পিক গেমসে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক রাজনীতি এখানে জড়িত। খেলার মধ্যে নয়, যারা আমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায় না, যারা চায় না আমরা এখানে থাকি, তারা করছেন। আমি অনেক বার্তা ও হুমকি পেয়েছি।’

ইসরায়েলি অ্যাথলেট টম রিভেনি
এএফপি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। গত রোববার ফিলিস্তিনের অলিম্পিক সাঁতারু ভালেরি তারাজি এপিকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষদের জীবনকে মানুষ এখন শুধুই একটা সংখ্যা হিসেবে দেখছে, এটাই কষ্টের বিষয়। যে পরিমাণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে—সবকিছুকে। অ্যাথলেট হিসেবে আমরা আর সবার মতো। আমরা লড়াই করতে চাই। আবার মানুষ হিসেবে আমাদেরও জীবন আছে, অন্য সবার মতো আমরাও আমাদের বাড়িতে থাকতে চাই।’

আরও পড়ুন

যুদ্ধের কারণে গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত বিপর্যয়কর হয়ে উঠছে। এতে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইসরায়েল ও হামাস—উভয়ের ওপরই বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ। তবে এখনো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়নি, যা নিয়ে অনেকেই দুষছেন ইসরায়েলকে। অলিম্পিকে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত চলার সময় বিদ্রূপ করা হচ্ছে।অ্যাথলেটদেরও রাখতে হচ্ছে কড়া নিরাপত্তায়। এ নিয়ে আরাদ বলেন, ‘এখনকার সময় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিযোগিতা করা সহজ কাজ নয়। অলিম্পিক ধর্ম ও দেশের মধ্যে সেতুবন্ধ করে। আমরাও এখানে প্রতিযোগিতা করতে এসেছি।’