গুয়াহাটিতে খেলা চালাতে গিয়ে হঠাৎ মৃত্যু বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আম্পায়ারের
ভারতের গুয়াহাটিতে একটি আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা চালাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আম্পায়ার নাজিব ইসমাইল রাসেল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার তিনি। প্রতি মাসেই বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করতেন। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন।
গুয়াহাটিতে আজ তাঁর ম্যাচ ছিল। কোর্টে যখন আসছিলেন না, আয়োজকেরা তাঁর হোটেলে যায়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা ভাঙা হয়। এবং দেখা যায়, তাঁর নিথর দেহ পড়ে আছে।
নাজিব ইসমাইলের আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সহসভাপতি ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ক্রীড়াবিদ কামরুন নাহার ডানা প্রয়াত নাজিবকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন, ‘১ ডিসেম্বর সে আমাকে ফোন করে বলেছিল পরদিন গুয়াহাটি যাবে। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর ঢাকা আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন তাকে ফিরতে হচ্ছে লাশ হয়ে। ওর মৃত্যু বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
১৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। নাজিবের ওপর নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ তিনিই বেশি করতেন। তাঁকে ছাড়া ঢাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন কল্পনাই করতে পারছেন না ব্যাডমিন্টন-সংশ্লিষ্টরা।
ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে নাজিব ইসমাইল এভাবে চলে গেছেন। বিশেষ কোনো রোগে আক্রান্ত ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন অনেকে। ব্যাডমিন্টনের নামী এই আম্পায়ারের মরদেহ আনার চেষ্টা করছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।