সবচেয়ে হালকা মানুষ হিসেবে ৪০০ কিলোগ্রামের বেশি ওজন তোলার কীর্তি গড়েছেন বুলগেরিয়ার ভারোত্তোলক কার্লোস নাসার। গতকাল ছেলেদের ৮৯ কেজি ভারোত্তোলনে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন তিনি।
জয়ের পর ২০ বছর বয়সী নাসার বলেন, ‘অলিম্পিক গেমস আমার কাছে মহাশূন্যে যাওয়ার মতো এবং নিজেকে মনে হয় মঙ্গলে (গ্রহ) আছি।’
শুরুতে স্ন্যাচ রাউন্ডে ১৮০ কেজি ভার তোলেন নাসার। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক রাউন্ডে যোগ দিতে একটু দেরি করেন। ততক্ষণে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা একটু কম ওজন ক্যাটাগরিতে তিনবার করে চেষ্টা চালান। এরপর প্রথম চেষ্টাতেই মাথার ওপরে ২১৩ কেজি ওজন তুলে সোনা জয় নিশ্চিত করেন নাসার। কিন্তু সেখানেই থামেননি।
দ্বিতীয় দফার চেষ্টায় তোলেন ২২৪ কেজি। তাতেই গত বছর কাতার গ্র্যান্ড প্রিক্সে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে নিজের গড়া বিশ্ব রেকর্ড ১ কেজি ব্যবধানে ভেঙে ফেলেন নাসার। আর সব মিলিয়ে মোট ৪০৪ কেজি ওজন তুলে ভেঙেছেন চীনের লি দাইনের গড়া ৩৯৬ কেজির বিশ্ব রেকর্ড।
গুঞ্জন আছে, অনুশীলনে নাসার এর চেয়েও বেশি ওজন তোলেন। জয়ের পর নাসার বলেন, ‘জয়টা আমি অনেকবার কল্পচোখে দেখেছি এবং প্রতিবারই সফল হয়েছি।’ ৩৯০ কেজি তুলে রুপা জেতেন কলম্বিয়ার এইসন লোপেজ এবং ব্রোঞ্জ জিতেছেন ইতালির আন্তোনিনো পিজ্জোলাতো (৩৮৪ কেজি)।
১৭ বছর বয়সে নিজের প্রথম বিশ্ব রেকর্ড গড়া নাসার সংবাদ সম্মেলনে নিজের রোমান্টিক জীবন নিয়েও কথা বলেন। জয়ের পর তিনি জানিয়েছেন, আজ রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে বুলগেরিয়ান সতীর্থ ও প্রেমিকা মাগদালিনা মিনেভাস্কাকে সমর্থন দেবেন। নাসারের জীবনে বিতর্কও আছে। ২০২২ সালে বুলগেরিয়ান সৈকতের রিসোর্টে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর বিনোদনমূলক ড্রাগ নিয়ে লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালানোর সময় গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করায় স্থগিত কারাদণ্ডাদেশও পেয়েছিলেন নাসার।
গত বছর মে মাসে সোফিয়ার এক হোটেলে গোসল করার সময় সাবান নিতে গিয়ে সিঙ্ক খসে তাঁর পায়ের ওপর পড়ে। এতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল নাসারকে। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘নড়লেই ব্যথা লাগে। চোখ খুলে রাখা এমনকি ব্রাশ করাও কঠিন।’