'ফুটবলকে কিছু দিতে ফিরেছি'

ছাইদ হাসান কানন।
ছাইদ হাসান কানন।

প্রায় নয় বছর পর কোচিংয়ে ফিরেছেন ছাইদ হাসান কানন। এলাকার দল বাড্ডা জাগরণীর দায়িত্ব নিয়েছেন আবারও। কাল বিকেলে কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে কোচিংয়ে ফেরা নিয়ে কথা বললেন আশি-নব্বইয়ের দশকে জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক

l আবার ফুটবল মাঠে দেখা যাচ্ছে আপনাকে মাঝখানে বিরতি ছিল কেন?

ছাইদ হাসান কানন: ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তা ছাড়া ফুটবল থেকে দূরে থাকার কিছু কারণ আছে। সেটা অবশ্য বলতে চাই না।

l তাহলে এখন আবার ফিরলেন কী মনে করে?

কানন: একটা দায়বদ্ধতা থেকেই ফিরেছি। দেশের ফুটবলে একটা ক্রান্তিকাল চলছে। এমন দুঃসময়ে ফুটবলকে কিছু দেওয়া উচিত এবং দিতেই ফিরেছি। আমার হাত দিয়ে যদি দুটি খেলোয়াড়ও তৈরি হয়, মন্দ কী!

l কিন্তু একসময়ের সেই বাড্ডা জাগরণী আর নেই এখন এটি ঢাকার ফুটবলের তৃতীয় স্তর অর্থাৎ সিনিয়র ডিভিশনে খেলছে

কানন: এটাই তো মন খারাপ করে দেয়। এই বাড্ডাকে আমি যখন কোচিং করিয়েছি আট-নয় বছর আগে, আমার সময়ে নয়-দশজন খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলেছে। মনোয়ার, পারভেজ বাবু, লাজুক, গোলকিপার আপেল, তানভীর, টিটু, হাসান, খোকন, রাইটব্যাক নাসির, প্রাণতোষরা এই বাড্ডারই ফসল। ওই সময় আমরা আবাহনীকে হারিয়েছি দুবার। ভারত থেকে একটা ট্রফি এনেছি।

l এখন কোচিংয়ে ফিরে কেমন দেখছেন সবকিছু?

কানন: যা দেখছি, অভিজ্ঞতা ভালো নয়। সিনিয়র ডিভিশনে দলবদলের পর অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেল না। আমার দলের খেলোয়াড়দের যা অবস্থা, তিন মাসের আগে দলটা তৈরি করা যাবে না। অথচ ৩১ মার্চ সিনিয়র ডিভিশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। ভালো একটা ফর্মেশন যে করব, ফুটবলাররা তো কিছুই বোঝে না। দুই-তিনটা পাস ঠিকমতো দিতে পারে না।

l এটা তো খেলোয়াড়দের দোষ নয়, তাঁদের কেউ শেখায়নি

কানন: এটাই তো আমাদের ফুটবলে বড় সমস্যা। আমরা খেলা শুরু করি ১৫-১৬ বছর বয়সে। দরকার ছিল ৮-১০ বছর বয়সেই ফুটবলের পাঠ নেওয়া। আমাদের দেশে এই সংস্কৃতিটা গড়ে ওঠেনি, যা এখন খুব অনুভব করছি।

l কোচিং নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে? নাকি আবার চলে যাবেন?

কানন: আমি কোচিংয়ে থাকতেই চাই। বি লাইসেন্স করেছি। মালয়েশিয়ায় গোলকিপারের ওপর বিশেষ কোচিং কোর্স করেছি। এসব করেও একরকম বিনা পয়সায় ট্রেনিং করাই। আমার কোনো ডিমান্ডও নেই। তেল খরচ করে আসি মাঠে। এটা আমার শখ। তবে পেশাদার সনদ যেহেতু আছে, ভালো কিছু খেলোয়াড় তৈরি করে যাব, আশা করি।