৮৩ কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন মেসি

মেসি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রেই যাচ্ছেন?ছবি: রয়টার্স

লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় থাকবেন, না চলে যাবেন?

মেসি বার্সায় থাকার ইচ্ছা গত আগস্টে জানিয়ে দেওয়ার পরও প্রশ্নটা এখনো মরেনি; বরং নতুন জল্পনাকল্পনা চলছে। বার্সায় বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী এটাই শেষ মৌসুম আর্জেন্টাইন তারকার। মৌসুম শেষে কী করবেন, তা এখনো অজানা। যদিও মেসি কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি বার্সা ছাড়বেন কি না, নিজেই তা জানেন না। আর ছাড়লে ভালোভাবেই ছাড়তে চান এবং খেলার ইচ্ছা আছে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)।

স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা সার এবার নতুন দাবি তুলেছে। বার্সেলোনায় মেসি ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকবেন এবং তারপর বার্সা ছেড়ে পাড়ি জমাবেন মায়ামিতে। প্রায় দেড় বছর আগেই আর্জেন্টাইন তারকা নাকি সেখানে ৮০ লাখ ইউরো (প্রায় ৮৩ কোটি টাকা) খরচায় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনে রেখেছেন। ৬০ তলার পোরশে টাওয়ারে এ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সৈকত খুব কাছেই আর ডেভিড বেকহামের ক্লাব ইন্টার মায়ামি সেখান থেকে ২৫ মিনিটের দূরত্ব গাড়িতে। ২০১৪ সালে ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া পোরশে টাওয়ারে গাড়ি রাখার নিজস্ব লিফট-ব্যবস্থা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির এই বিল্ডিংয়েই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন লিওনেল মেসি।
ছবি: টুইটার

স্পেনের রেডিও ব্যক্তিত্ব হোসে আন্তোনিও পনসেতির এ নিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেছে কাদেনা সার। সংবাদমাধ্যম এল লারগুয়েরোকে তিনি বলেছেন, মেসি এখন বার্সায় থেকে গিয়ে ২০২৩ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে চায়। সন্তানেরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে সেখানকার হাইস্কুলে পড়তে পারে, সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত।
পনসেতি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মেসির অ্যাপার্টমেন্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ‘গাড়িতে চড়া অবস্থায়ই আলাদা লিফটে করে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়া যাবে’।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, নিজের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্কুলে ভর্তি করতে চান ৩৩ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।

মায়ামির পোরশে টাওয়ার।
ছবি: টুইটার

স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল লা সেক্সতাকে এর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের একটি ছোট্ট ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন মেসি, ‘সব সময়ই বলেছি, আমি এমএলএসে খেলার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাই। কিন্তু সেটা এখনই নয়।’

এর আগে ক্যারিয়ার-সায়াহ্নে এসে যুক্তরাষ্ট্রের লিগ খেলেছেন পেলে, ডেভিড বেকহাম, আন্দ্রেয়া পিরলো, দাভিদ ভিয়া, ইব্রাহিমোভিচদের মতো তারকারা। অনেকেই এই লিগকে বড় তারকাদের ‘বৃদ্ধাশ্রম’ বলে থাকেন। কারণ একটাই, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে অধিকাংশ ইউরোপীয় তারকা এই লিগে আসেন বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জনের আশায়। ইন্টার মায়ামি ক্লাবের মালিক ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার বেকহাম। এ বছর থেকে ক্লাবটি এমএলএস লিগে খেলা শুরু করেছে।