ভেরোনিক রাবিওর ব্যাপারে যারা জানেন, তাঁরা কেউ তাঁকে ‘সুবিধার’ মানুষ হিসেবে পরিচয় দেবেন না।
জুভেন্টাসের মিডফিল্ডার আদ্রিয়াঁ রাবিওর মা তিনি। তবে আর দশটা খেলোয়াড়ের অভিভাবকের সঙ্গে তাঁকে মেলালে চলবে না। ছেলের ক্যারিয়ারের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে মতামত দিয়ে আসছেন, এসেছেন। সেই মতামত অনেকের বিরক্তিরও কারণ হয়েছে।
রাবিওর পিএসজি ছাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিলেন তাঁর মা। ভেরোনিকের সঙ্গে পিএসজির কর্তাব্যক্তিদের সম্পর্ক নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকেছিল। অবস্থা এমন হয়েছিল, পরে একটা পর্যায়ে এসে রাবিওকে খেলানো তো দূর, দলের সঙ্গে অনুশীলনও করতে দেওয়া হতো না।
বারবার বিতর্কিত কথাবার্তা বলে আলোচনায় এসেছেন ভেরোনিক। এবারও এসেছেন, ইউরোতে ফ্রান্স বিদায় নেওয়ার পর।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ত জানিয়েছে, গোটা ম্যাচ জুড়ে এমবাপ্পে-পগবার বাবা-মা'র সঙ্গে গ্যালারিতে বসেই ঝগড়া করে গেছেন ভেরোনিক। সুইজারল্যান্ডের তৃতীয় গোলটার সময় পগবা কেন হেলাফেলা করে বল ছেড়ে দিলেন, সেটা নিয়ে পগবার মা-কে একচোট বকেছেন তিনি। এমবাপ্পের পেনাল্টি মিসের পর পিএসজি ফরোয়ার্ডের বাবা-মা'র সঙ্গেও লেগে গিয়েছিল তাঁর। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা এসে থামান তাঁদের।
শুধু তাই নয়, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এমবাপ্পের বাবাকে ভেরোনিক বলেছেন, তাঁর ছেলে যেন একটু কম উদ্ধত হয়। কারণ, ফ্রান্সের হারের পেছনে দোষটা এমবাপ্পেরই! শুধু তাই নয়, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকদের প্রতিও তোপ দেগেছেন ভেরোনিক। বলেছেন, তাঁরা সব সময় এমবাপ্পেকে তোয়াজ না করলে এমন দিন দেখতে হতো না।
ম্যাচ শেষে এই ঝগড়াঝাঁটি ২০ মিনিট ধরে চলেছে বলে জানিয়েছে আরএমসি স্পোর্ত। এদিকে লেকিপের সাংবাদিক তারাগো সেবাস্তিয়েনের সূত্র ধরে জানা গেছে, ভেরোনিক আসলেই কী বলেছিলেন ওদিন।
ভেরোনিক বলেছেন, 'ও যেভাবে পেনাল্টি শট নিল, সেটা বিব্রতকর। ওর মানের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এটা প্রত্যাশা করা যায় না। ও অনেক আস্তে মেরেছিল শটটা। আশা করব আপনারা যেন সবাই ওকে একটু বকে দেন।'