আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে আর্জেন্টিনা। খুব বেশি কঠিন গ্রুপে পড়েনি লিওনেল স্কালোনির দল। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মেক্সিকো, পোল্যান্ড ও সৌদি আরবের বিপক্ষে লড়বেন মেসিরা।
তবে মঞ্চটা যেহেতু বিশ্বকাপের, কাগজে-কলমে সহজ মনে হলেও নিজেদের দিনে আর্জেন্টিনাকে কঠিন সময় উপহার দেওয়ার সামর্থ্য প্রতি দলেরই আছে।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে প্রত্যাশিত ফলাফল পেলে পরের রাউন্ডে না হয় ওঠা যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠাই কি আর্জেন্টিনার লক্ষ্য? অবশ্যই নয়। আর্জেন্টিনার লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয়। আর বিশ্বকাপ জিততে হলে যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য থাকতে হবে। আর্জেন্টিনার কঠিন প্রতিপক্ষদের মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল অন্যতম। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ বহু আগে থেকেই ফুটবল–ঐতিহ্যের অংশ।
গ্রুপ ‘সি’তে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ মেক্সিকো, সৌদি আরব ও পোল্যান্ড। ব্রাজিলের জায়গা হয়েছে ‘জি’ গ্রুপে। ব্রাজিলের সঙ্গে গ্রুপসঙ্গী হিসেবে আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
বিশ্বকাপ ড্রয়ের পর যে কথাটা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে—ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা কি আদৌ বিশ্বকাপের কোনো পর্যায়ে মুখোমুখি হবে? হলে সেটা কখন? ড্রয়ের পর হিসাবনিকাশ করে দেখা যাচ্ছে, মেসি-নেইমারদের স্বপ্নের ফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে ফাইনালে দুই দল মুখোমুখি না হলেও সেমিতে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা যদি নিজ নিজ গ্রুপে সেরা দল হিসেবে পরের রাউন্ডে ওঠে, এরপর দ্বিতীয় রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনালেও যদি নিজ নিজ প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেমিতে উঠতে পারে, তাহলেই সেমিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা—দুই দলই ড্রয়ে একে-অপরের বিপরীত দিকে পড়েছিল। যে কারণে নিশ্চিত ছিল কোয়ার্টার ফাইনালের আগপর্যন্ত এই দুই দল মুখোমুখি হবে না। তবে লাতিন আমেরিকার দুই কুলীন দল যত পরে মুখোমুখি হবে, বিশ্বকাপের আকর্ষণ ততই বাড়বে।
এ তো গেল শুধু কাগজ-কলমের হিসাব। সে হিসাবকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার দায়িত্ব এখন মেসি-নেইমারদের!