স্পেনে কর ফাঁকিবাজদের কালোতালিকায় শীর্ষে নেইমার
আবার ঝামেলায় নেইমার—কথাটা এখন ‘ক্লিশে’ হওয়ার পথে। নেইমার মাঠে নামলেও বিতর্ক, না নামলেও কথা বন্ধ হয় না। কিছু না কিছু লেগেই থাকে—অনেকে এমন মনে করলেও দোষ দেওয়া যায় না।
কিছুদিন আগে মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে জড়িয়েছেন বাদানুবাদে। একজনের মাথায় চাটি মেরে তো লাল কার্ডও দেখেছেন। উঠেছে বর্ণবাদের অভিযোগ। এবার পুরোনো এক অভিযোগই উঠেছে নতুন করে। স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ কর ফাঁকি দেওয়াদের একটি কালো-তালিকা তৈরি করেছে। সেখানে নেইমার শীর্ষস্থানে!
স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নেইমারের বকেয়া করের পরিমাণ ৩৪.৬ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা)। স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষের কালো-তালিকায় নামসংখ্যা হাজারের বেশি, তার মধ্যের নেইমারের বকেয়া করের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বার্সেলোনায় ছিলেন নেইমার। দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তিন বছর আগে পিএসজিতে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমার বার্সায় থাকতেই তাঁর বিপক্ষে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে এবং তা গড়ায় আদালত পর্যন্তও।
কর ফাঁকি দেওয়া নিয়ে গত বছর থেকেই পিএসজি ফরোয়ার্ডের পেছনে লেগেছে স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ—তা আগেই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। তবে এ নিয়ে এবারই প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য প্রকাশ করল তারা। তবে স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ এএফপি নিশ্চিত করেনি, সান্তোস থেকে নেইমারকে কেনার সময় বার্সাকে নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছিল তার সঙ্গে এই কর ফাঁকির অঙ্কের কোনো যোগসূত্র আছে কি না। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নানা কারণে কর ফাঁকির তালিকায় ওপরের দিকে নাম থাকে, এর মধ্যে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বকেয়া কর পরিশোধ করতে না পারার ব্যর্থতাও আছে।
সান্তোস থেকে নেইমারকে ২০১৩ সালে কেনে বার্সা। গত বছর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সময় বোনাসের অঙ্ক তাঁর রেকর্ড দলবদল নিয়ে তদন্ত করছে স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষ। এ দুটি বিষয়ে ব্রাজিল তারকা কর পরিশোধ করেছেন কি না সেটি ছিল তদন্তের বিষয়। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছিল, বার্সায় চার মৌসুম খেলার বকেয়া কর হিসেবে নেইমারের কাছে সাড়ে ৩ কোটি ইউরো দাবি করেছে কর কর্তৃপক্ষ। মূলত বার্সায় বোনাস ও পিএসজিতে যাওয়ার চুক্তিপত্র নিয়েই এ জটিলতা।