সোনার বলটা কার - মদরিচ না এমবাপ্পের?
>রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষের পথে। রোববার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। এই দুই দলের দুই সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে আর লুকা মদরিচের মধ্যে যে কেউ ‘গোল্ডেন বল’ জিততে পারেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তবে এমবাপ্পে-মদরিচের সঙ্গে কেইন আর হ্যাজার্ডের নামও উচ্চারিত হচ্ছে
লুকা মদরিচ, না কিলিয়ান এমবাপ্পে? হ্যারি কেইন আর এডেন হ্যাজার্ডও যে আছেন! তাঁদের দেশ ফাইনালে ওঠেনি ঠিকই, কিন্তু সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসায় দুজনের অবদান কম নয়। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এবার বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বল’ জয়ী নির্ধারিত হবে প্রথম দুজনের মধ্যেই—মদরিচ অথবা এমবাপ্পে।
ইভান রাকিতিচের অবদানকে এতটুকু খাটো না করে বলা যায়, ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে ওঠার পেছনে অসামান্য অবদান রয়েছে মদরিচের। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার এই বিশ্বকাপে করেছেন ২ গোল। শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি মিস করলেও টাইব্রেকারে লক্ষ্য ভেদ করে তা পুষিয়ে দিয়েছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে ‘দৌড়ানো’ খেলোয়াড়টিও মদরিচ। ক্রোয়েশিয়ার এই ৬ ম্যাচে তিনি দৌড়েছেন ৬৩ কিলোমিটার। এখানেই শেষ নয়। দলের এই ৬ ম্যাচের ৩টিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন মদরিচ। এই বিশ্বকাপে আর কোনো খেলোয়াড়ই ৩ বার ম্যাচসেরা হতে পারেননি।
এমবাপ্পে এই বিশ্বকাপে শিহরণ জাগানো খেলোয়াড়। অবিশ্বাস্য গতি আর দক্ষতার জন্য নজর কেড়েছিলেন বিশ্বকাপের আগেই। আর বিশ্বকাপে এসে ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড যেন আরও প্রস্ফুটিত। শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাঁর জোড়া গোলের সঙ্গে ওই দৌড়টাকেও মনে রাখতেই হচ্ছে? মাঝমাঠ থেকে স্প্রিন্ট শুরু করা এমবাপ্পেকে কেউ ধরতে পারেনি—এই দৌড়টাই আসলে এমবাপ্পের ‘ব্র্যান্ড’। ৩ গোল করা এ ফরাসি কিশোর ফিরিয়ে এনেছেন পেলের স্মৃতি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের পর প্রথম ‘কিশোর’ ফুটবলার হিসেবে এবার ন্যূনতম দুটি গোল করেছেন এমবাপ্পে।
ইংল্যান্ড এবার সেমিফাইনালে উঠেছিল হ্যারি কেইনের ওপর ভর করে। ৬ গোল করা এই ইংলিশ স্ট্রাইকার ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে। সোনার জুতা যে শেষ পর্যন্ত তাঁর ঝুলিতেই উঠবে, সে ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিত। বেলজিয়ামের বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে গোলসংখ্যা আরও বাড়ানোর সুযোগ পাবেন কেইন। বিশ্লেষক থেকে সংবাদমাধ্যম কিন্তু ‘গোল্ডেন বল’ জয়েও কেইনকে বিবেচনায় রেখেছেন।
বেলজিয়াম দলে প্রতিভার কমতি নেই। এডেন হ্যাজার্ড এই প্রতিভাবান দলটির আসল নেতা। কোয়ার্টার ফাইনালে তা ভালোই টের পেয়েছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে হ্যাজার্ড মাঠের কোথায় ছিলেন না! সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। ২টি গোল করার সঙ্গে ২টি ‘অ্যাসিস্ট’ও করেছেন হ্যাজার্ড।