সাফ ফুটবলে খেলবে না বলছে ভুটান
করোনার কারণেগত বছর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় সাফ ফুটবল হয়নি। ঠিক এক বছর পিছিয়ে এ বছর একই সময় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা। কিন্তু আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় টুর্নামেন্টটি হবেই এমন নিশ্চয়তা নেই।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছরও সাফ ফুটবল নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। তারওপর ভুটান জানিয়ে দিয়েছে নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু হলেও খেলবে না তারা। আজ অনলাইনে সাফের দেশগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের সভায় এমনটাই জানিয়েছে ভুটান ফুটবল ফেডারেশন।
দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুটানের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন, এ বছর সাফ হলে তারা খেলতে পারবে না। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে তারা সরকারের কাছ থেকে দেশের বাইরে যাওয়া অনুমতি পাবে না। ফলে ভুটান জাতীয় দলের পক্ষে সাফে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। এটা মৌখিকভাবে জানালেও আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি এখনো পাইনি ভুটানের।’
তা ছাড়া ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তানও খেলতে পারবে না এবারের সাফে। ফলে সাত দেশের মধ্যে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা কমে হচ্ছে পাঁচটি। শেষ পর্যন্ত পাঁচটি দলই খেললে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলা হবে না। পাঁচ দল একে অন্যের সঙ্গে লিগ ভিত্তিক খেলার পর শীর্ষ দুটি দল উঠবে ফাইনালে। এমন পরিকল্পনাই কথাই জানিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক।
ভারত বলছে সেপ্টেম্বরে সাফ হলে তারা খেলবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে কি না সেটা নিয়ে অন্য সব দেশের মতো ভারতেও সংশয় রয়েছে।
সাফ নিয়ে জটিলতা রয়েছে অনেক। গত বছর মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু টুর্নামেন্টটি এক বছর পিছিয়ে যাওয়া স্পনসরশিপের একটা সমস্যা রয়ে গেছে। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটিও দেখতে হবে। আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ভারত বলছে সেপ্টেম্বরে সাফ হলে তারা খেলবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে কি না সেটা নিয়ে অন্য সব দেশের মতো ভারতেও সংশয় রয়েছে। ফলে সাফ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।’
আজকের সভায় বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছে এ বছর সাফ ফুটবল হলে সেটি ঢাকার বাইরে হবে। কারণ, সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলবে। তাই সাফ শেষ পর্যন্ত হলেও সেটি চলে যাবে চট্টগ্রাম বা সিলেটে।