লিভারপুল-ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছেন না মেসি
>বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লিগ হতাশা যেন কাটছেই না। টান দুই বছর প্রথম লেগে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে বাজেভাবে হেরে ফাইনালে ওঠার আগেই বিদায় নিয়েছে তারা। এবার লিভারপুলের বিপক্ষে সেমির প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোল জিতলেও লিভারপুলের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ৪ গোল খেয়ে বিদায় নিয়েছে তারা। এভাবে বিদায় নেওয়াটা সহ্য করতে পারছেন না বার্সা খেলোয়াড়েরা, জানিয়েছেন দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি
লিগ জেতা আগেই হয়ে গেছে। আজ শনিবারে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রে এর ফাইনাল জিতলে টানা দুই মৌসুম ঘরোয়া ‘ডাবল’ জেতার কৃতিত্ব গড়বে বার্সেলোনা। কিন্তু তাও বার্সেলোনায় বাজছে বেদনার সুর। একটা অস্বস্তি গুমরে উঠছে মেসিদের মাঝে। চ্যাম্পিয়নস লিগটা জেতা হচ্ছে না যে!
ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা জেতার জন্য মুখিয়ে আছেন মেসিরা। বিশেষ করে গত তিন বছর টানা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের উল্লাস করতে দেখে দেখে ক্লান্ত তাঁরা। এ মৌসুমে পাকাপাকিভাবে বার্সেলোনার নতুন অধিনায়ক হওয়ার পরে মেসি ঘোষণা দিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাটা ন্যু ক্যাম্পে আনবেনই। কিন্তু লিভারপুলের জন্য সেটা হলো কোথায়? সেমিতে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সা।
এ নিয়ে টানা দুই বছর প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন মেসিরা। আর এই ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে মেসিদের, ‘হারটা একদম অপ্রত্যাশিত ছিল আমাদের কাছে। অনেক বড় একটা ধাক্কা খেয়েছি আমরা। অনেক বড় ধাক্কা। ধাক্কা সামলে উঠতে অনেক সময় লেগেছে আমাদের। আমরা অনেক বাজে খেলেছি। এমন বাজেভাবে এক বছর হারা যায়। কিন্তু টানা দুই বছর একইভাবে হারার কোনো ব্যাখ্যা থাকে না। টানা দুই বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ছিল আমাদের, সুযোগগুলো আমরাই হারিয়েছি।’
মৌসুমের শুরুতে মেসি নিজেই বলেছিলেন যে করে হোক চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিটা বার্সেলোনায় নিয়ে আসবেন। এখন কেমন লাগছে তাঁর? ‘আমি বলিনি আমি সেই সুন্দর ট্রফিটা অবশ্যই নিয়ে আসব। আমি বলেছি, আমরা সেই সুন্দর ট্রফিটা বার্সায় নিয়ে আসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যা যা করার দরকার সব করব। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে আমরা সেটা করতে পারিনি। যথেষ্ট বাজে খেলেছি। দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারিনি। আর এর জন্য সমর্থকদের কাছে আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’