র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে মনোবল বাড়াও
ঢাকায় আজ আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান। প্রীতির আড়ালে এ ম্যাচটির গায়ে অদৃশ্য বড় বড় হরফে বাংলাদেশ লিখে দিয়েছে ‘র্যাঙ্কিং এগিয়ে মনোবল বাড়াও।’ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে খেলা।
ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৮৭ থেকে কিছুটা উন্নতি হবে। তাই দুটি ম্যাচের আয়োজন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দুই দেশের সবশেষ সাক্ষাতে গত সেপ্টেম্বরে সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ জেতে ২-০ গোলে। সেটি ছিল একটি ক্ষতের প্রলেপ। ক্ষতটা তৈরি হয়েছিল ২০১৬ সালে থিম্পুতে ভুটানের কাছে প্রথমবার বাংলাদেশের হারে (৩-১)। ওই হার বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দেয় অনেকটা। ১৭ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে অবশ্য লাওসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
এখন সামনে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের কঠিন সময়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ গোলের হার দিয়ে সে মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতার। এর পাঁচ দিন পরই কলকাতায় স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ দুটি ম্যাচের প্রস্তুতির জন্যই ভুটানকে ঢাকায় আনা। সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ও মনোবল বাড়ানোও লক্ষ্য।
ভুটান নামে ছোট হলেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তারাও এখন বাংলাদেশের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে (১৮৫)। তবে দলটির বিপক্ষে আজ জামাল ভূঁইয়ারা ফেবারিট। তার ওপর ঢাকায় আসা ভুটানের এ দলটিকে মূল জাতীয় দল বলা যাবে না। বেশির ভাগ ফুটবলারই নবীন। ডিসেম্বরে এসএ গেমসের প্রস্তুতি হিসেবেই ভুটান এসেছে ঢাকায়। দলে সিনিয়র ফুটবলার দুজন, যাঁর একজন ‘ভুটানের রোনালদো’খ্যাত চেনচো— যিনি আইএসএলে বেঙ্গালুরুতে খেলেছেন। অন্যজন ভারতের দ্বিতীয় বিভাগের দল কাশ্মীর এফসিতে খেলেন।
>আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবলে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে খেলা
বাফুফে ভবনে কাল সংবাদ সম্মেলনে চেনচোকে নিয়ে আসেন কোচ প্রেমা। কোচের কথা, ‘আমরা ঢাকায় এসেছি তরুণ একটা দল নিয়ে। আমরা চাই এখানে ভালো কিছু করতে। জয়ের লক্ষ্যই থাকবে, যেটা আমাদের দলের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। ডিসেম্বরে এসএ গেমসের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রস্তুতি হিসেবেই আমরা মূলত এসেছি। প্রস্তুতি নিয়েছি মাত্র চার দিনের।’ অধিনায়ক চেনচো বলেছেন, ‘আমরা গত সাফে ঢাকায় বাংলাদেশের কাছে হেরেছি। তখন প্রস্তুতি ভালো ছিল না। তবে এ ম্যাচে আমরা ভালো কিছু করতে চাই।’
আর বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের মুখে ফুটল জয় চাই, ‘আমরা জিততে চাই ভুটানের বিপক্ষে। এ দুটি ম্যাচ জিতলে আমরা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগোব। তবে মূল লক্ষ্য হলো কাতার ও ভারত ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করা।’
ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জিততে না পারলে সেটি বাংলাদেশের জন্য বড় ব্যর্থতাই। বাংলাদেশ দল বরং যতটা সম্ভব বেশি গোল করতে চাইবে আজ। গোলের রাস্তা চেনাটা জরুরি। এই ম্যাচ সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ ভুটান বলে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই এতটুকু। জেমি ডে এবং তাঁর শিষ্যরা শুনছেন কি!