রোনালদোদের হয়ে ২,৮২৫ দিন পর মাঠে নেমেই গোল
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে তখনো প্রায় ১০ মিনিট বাকি। ১-০ গোলে এগিয়ে স্পেন। সেভিয়ায় এস্তাদিও বেনিতো ভিলামারিন স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সমর্থকেরা গাভির খেলায় মুগ্ধ।
মাঠে প্রায় এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে তাঁকে পাসিং ফুটবল খেলতে দেখা যায়নি। এর পাশাপাশি বল দখল ও গোল বানানোর চেষ্টা তো আছেই। পাবলো সারাবিয়া ও গাভির তেমনই এক প্রচেষ্টা থেকে গোলও পেয়ে গিয়েছিল স্পেন। সেটি ম্যাচের ২৫ মিনিটে।
কিন্তু ৮১ মিনিটে গাভি বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার পরই সমতায় দুই দল!
গোল পেতে ৬২ মিনিটে ওতাভিও-র বদলি হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মাঠে নামান ফার্নান্দো স্যান্টোস। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না।
১০ মিনিট পর বাঁ প্রান্তে উইঙ্গার রাফায়েল লেয়াওকে তুলে ব্রাগার ২৭ বছর বয়সী উইঙ্গার রিকার্দো হোর্তাকেও নামান তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক অপেক্ষারও অবসান হয় হোর্তার। ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের হয়ে অভিষেক হোর্তার।
দীর্ঘ ৭ বছর ৯ মাস (২,৮২৫ দিন) পর কাল রাতে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পান হোর্তা। কপালও তাঁর! ১০ মিনিট পরই অর্থাৎ, ৮২ মিনিটে হোয়াও ক্যানসেলোর ক্রস থেকে গোল করেন হোর্তা, সেটিও সমতাসূচক গোল!
স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কাল উয়েফা নেশনস লিগ অভিযান শুরু করেছে পর্তুগাল।
দারুণ প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা। তখন কে জানত, বেঞ্চে বসে থাকা হোর্তার গোলে জয়বঞ্চিত হবে স্পেন। অবশ্য স্পেন-পর্তুগাল ম্যাচ ড্র হওয়া তো নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচ ড্র করল দুই দল।
২০০৪ সাল থেকে স্পেনের বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জয়বঞ্চিত পর্তুগাল। স্পেনকে তাঁদের মাটিতে পর্তুগাল কখনো হারাতে পারেনি। সর্বশেষ ২০১০ সালে এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে জয়ের নজির দেখা গেছে। লিসবনে প্রীতি ম্যাচে স্পেনকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগাল। এরপর ২০১২ ইউরোয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়ে দুই দল গোলশূন্য ড্র করেছিল দুই দল। কিন্তু টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের জয় তুলে নেয় স্পেন। তারপর এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে ড্র করল দুই দল।
প্রায় ৮ বছর বিরতির পর পর্তুগালের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত হোর্তা। দেশের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি পাওয়ার পর হোর্তা বলেছেন, ‘গর্ব লাগছে। যোগ্যতাবলেই আমি এখানে আসতে পেরেছি এবং সবাইকে সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।’