২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রিয়ালের বিপক্ষে খেলতে ৭ দিন কাঁচা মাংস খেয়েছিলেন ম্যারাডোনা

বার্সেলোনায় খেলার দিনগুলোতে ম্যারাডোনা।ছবি: সংগৃহীত।

বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ ফুটবলের সবচেয়ে বড় দ্বৈরথ। বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে রিয়ালের নয়তো বার্সার হয়ে এই দ্বৈরথের স্বাদ নেওয়ার। ফুটবলার মাত্রই জানেন এই ম্যাচের গুরুত্ব, ওজন। সদ্যপ্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।

বোকা জুনিয়র্স কিংবা নাপোলির হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়ালেও ম্যারাডোনা দুবছর খেলে গিয়েছিলেন বার্সেলোনাতেও। গায়ে মেখেছেন ‘এল ক্লাসিকো’র উত্তাপ। অন্য সব খেলোয়াড়ের মতো তিনিও চাইতেন এই ম্যাচের আগে নিজের ফিটনেসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে। রিয়ালের বিপক্ষে খেলতে সর্বোচ্চ ফিট থাকার জন্য অবাক করা কিছু কাজও করেছিলেন ম্যারাডোনা, যা এত দিন পর এসে জানা গেছে হুয়ান কার্লোস উনজুয়ের কল্যাণে।

বার্সেলোনার সঙ্গে হুয়ান কার্লোস উনজুয়ের সম্পর্কটা আজকের নয়। অবসর নেওয়ার পর ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড ও পেপ গার্দিওলার অধীনে বার্সার গোলকিপারদের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন উনজুয়ে। পরে লুইস এনরিকের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন বছর দুয়েক

বার্সেলোনার বিভিন্ন কোচের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে থাকার কারণেই হোক বা সাবেক খেলোয়াড় হওয়ার কারণে, বার্সার তারকাদের বিভিন্ন গালগল্প বেশ ভালোই জানেন উনজুয়ে।
শুনেছেন ম্যারাডোনার বিভিন্ন কাহিনিও। এমনই এক কাহিনি এত দিন পর উনজুয়ের কল্যাণে জানল বিশ্ব।

উনজুয়ে জানিয়েছেন, রিয়ালের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ফিট হয়ে খেলার জন্য ম্যারাডোনা একবার টানা এক সপ্তাহ কাঁচা মাংস খেয়েছিলেন। ফলে, এক সপ্তাহে তাঁর ওজন কমেছিল আট কেজির মতো!

এক সাক্ষাৎকারে উনজুয়ে বলেছেন, ‘একবার রিয়ালের বিপক্ষে বড়দিনের আশপাশে কোনো একটা দিনে খেলা পড়ল আমাদের। ম্যাচের আগে ম্যারাডোনা তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গেলেন। সাত দিন পর ম্যারাডোনা যখন বার্সেলোনায় এলেন, তাঁর ওজন আগের চেয়ে আট কেজি কমে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, সাত দিন ধরে তিনি শুধু কাঁচা মাংসই খেয়ে যাচ্ছেন। ভাবতে পারেন?’

ম্যারাডোনার এমন ত্যাগও তাঁকে বার্সেলোনায় সফল খেলোয়াড় হিসেবে সেভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। বরং বিশ্ব আসল ম্যারাডোনাকে দেখতে পায় বার্সা ছাড়ার পরেই, যখন তিনি নাপোলিতে গেলেন, তখন!