২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রিয়ালকে কেউ শুরুতে গুরুত্ব দেয়নি বলেই খুশি আনচেলত্তি

আনচেলত্তি অনন্য ইতিহাস গড়েছেনছবি: রয়টার্স

চ্যাম্পিয়নস লিগ তিনি এর আগে তিনবার জিতেছেন। রিয়াল মাদ্রিদেও এটি তাঁর প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ নয়। তবে প্যারিসে কাল লিভারপুলকে ১-০ হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ১৪তম শিরোপা জয়ের রাতটা কার্লো আনচেলত্তির কাছে বিশেষ হয়ে থাকবে সব সময়। এ শিরোপা দিয়ে যে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে চারবার শিরোপা জেতা একমাত্র কোচ হয়ে গেলেন ৬২ বছর বয়সী ইতালিয়ান!

সাধারণত রেকর্ড নিয়ে ভদ্রলোকের কোনো আলাদা আবেগ কাজ করে না। অন্তত প্রকাশ্যে সেটি দেখান না। কাল রেকর্ড গড়ার মুহূর্তেও যেমন মজা করেই বললেন, ‘আমি তো তাহলে রেকর্ড-ম্যান!’

তবে রেকর্ডের পথে কোন দিকটি বেশ কাজে এসেছে? আনচেলত্তি জানালেন, মৌসুমের শুরুতে কেউ ভাবেনি রিয়াল শিরোপা জিতবে, সেটিই তাঁর সবচেয়ে বেশি কাজে এসেছে।

মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা অন্য যেকোনো দলের হয়ে জেতার চেয়ে সহজ
কার্লো আনচেলত্তি

‘আমার জেতা সবচেয়ে কঠিন শিরোপা ছিল এটি। কেউ যে ভাবেনি আমরা এটা জিততে পারি, সেটা আমাদের কাজটা বেশ সহজ করে দিয়েছে। ওটার কারণে দলের খেলোয়াড়দের নিবেদন, আত্মবিশ্বাস, লড়াইয়ের চেতনা কাজ করেছে বেশি, ড্রেসিংরুমে দারুণ একটা পরিবেশ এসেছে’ – আনচেলত্তির বিশ্লেষণ।

টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে রিয়াল অবিশ্বাস্য সব গল্প লিখে শিরোপাটা জিতেছে। তবে রূপকথা লেখার আগ পর্যন্ত মুহূর্তগুলোতে রিয়ালের অনুভূতি কেমন ছিল, সেটিও জানিয়েছেন আনচেলত্তি, ‘শেষ ষোলো থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমরা ভুগেছি। অনেক ভুগেছি।‘

তবে সব সময়ের মতো শিরোপা জয়ের কৃতিত্বটা অন্যদেরই দিয়ে দিলেন আনচেলত্তি। নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ শুরুতে দেরির সময়ে তাঁর মানসিক অবস্থা ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘ড্রেসিংরুমে আমি শান্তভাবটা ধরে রাখতে চেষ্টা করি। আজ ম্যাচে দেরি হওয়ার সময়ে আমিই সম্ভবত সবচেয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ ছিলাম, নিজের কক্ষে চলে গিয়েছিলাম, যাতে খেলোয়াড়েরা আমাকে দেখতে না পায়। কিন্তু ওরা খুব শান্ত ছিল।’

খেলোয়াড়দের সঙ্গে সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে আনচেলত্তির
ছবি: রয়টার্স

নিজের চার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের কীর্তির প্রশ্নেও আনচেলত্তির উত্তরটা হলো স্বভাবসুলভ ঢংয়ে, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছি। আমরা কষ্ট করেছি অনেক, তবে দলের নিবেদন একেবারে নিখুঁত ছিল। মৌসুমটা ভালোভাবে শেষ করেছি বলে খুশি। আলাবা, মিলিতাও, মেন্দি সবাই খুব ভালো খেলেছে। কোর্তোয়ার তো মৌসুমটাই অসাধারণ কেটেছে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ

শেষে আনচেলত্তি যা বললেন, তা সম্ভবত চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের অজানা বিশেষ দক্ষতার কথাই মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয়, এই টুর্নামেন্টটা রিয়ালেরই! ‘লিভারপুল এ বছরে খুব বেশি ম্যাচ হারেনি, অসাধারণ একটা ম্যাচে ওদের হারিয়ে দিলাম আমরা। মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা অন্য যেকোনো দলের হয়ে জেতার চেয়ে সহজ।’

১৪টি শিরোপাই তা বলে!