রিয়াল রক্ষণের 'বজ্র আঁটুনি'

রামোস-ভারানদের টপকে গোলই করতে পারছে না লা লিগার দলগুলো। ছবি : এএফপি
রামোস-ভারানদের টপকে গোলই করতে পারছে না লা লিগার দলগুলো। ছবি : এএফপি
>গতকাল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে লিগে টানা তিন ম্যাচ কোনো গোল হজম করল না রিয়াল।

গতকাল রিয়ালের ম্যাচ শেষে রাফায়েল বেনিতেজের মন খারাপ হয়েছে কি না, কে জানে।

চীনের ক্লাব দালিয়ান ইফাংয়ের বর্তমান ম্যানেজার বেনিতেজ চার বছর আগে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে। রিয়ালের সেরা কোচদের তালিকায় তাঁর কস্মিনকালেও জায়গা হবে না তাঁর। তার পরেও দুই-একটা রেকর্ড রিয়ালে বেনিতেজের আমলটা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই রেকর্ডগুলোর একটা গতকাল ভেঙে গেছে। বেনিতেজ যাওয়ার পর টানা তিন লিগ ম্যাচে কখনো গোল না খেয়ে থাকতে পারেনি রিয়াল। গতকাল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল, ফলে সে রেকর্ডটাও আর থাকল না। এ জন্য মন খারাপ হতেই পারে বেনিতেজের!

বেনিতেজের সময়ে সে বার মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচে গোল না খেয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দলের রক্ষণভাগের মূল অংশ ছিলেন সার্জিও রামোস, পেপে, মার্সেলো আর দানি কারভাহাল। রাফায়েল ভারান তখন আস্তে আস্তে নিজেকে গড়ে তুলছেন। দলের রক্ষণভাগের বাকি অংশ ছিলেন নাচো ফার্নান্দেজ, আলভারো আরবেলোয়া। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে সেবার স্পোর্টিং গিজনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দ্বিতীয় ম্যাচে রিয়াল বেতিসকে হারায় রিয়াল। তৃতীয় ম্যাচে এসপানিওলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চতুর্থ ম্যাচে গ্রানাডাকে ১-০ গোলে হারান রামোস-পেপে রা। এই চার ম্যাচের কোনোটায় রিয়াল একটা গোলও খায়নি।

এরপর কেটে গেছে চার বছর। লিগে টানা চার ম্যাচ তো দূর, তিন ম্যাচেও টানা গোল না খেয়ে থাকতে পারেনি রিয়াল। গতকাল অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সে ফাঁড়া কেটেছে।

শুরুটা হয়েছিল ওসাসুনার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে। এরপর সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। সর্বশেষ অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে গত রাতে। আগামী সপ্তাহে গ্রানাডার বিপক্ষে গোল না খেয়ে থাকতে পারলেই সেই ২০১৫/১৬ মৌসুমের মতো টানা চার ম্যাচে গোল না খেয়ে থাকতে পারবে রিয়াল।

দলে এখন আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো গোলদাতা নেই। ফলে ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফল আনার জন্য রক্ষণভাগের দৃঢ়তা ছাড়া গতি নেই। গত কয়েক মাস ধরেই রিয়ালের রক্ষণভাগ সে কাজটা করতে পারছিল না। রামোস, ভারান, মেন্ডি, কারভাহাল, মার্সেলো, মিলিতাওরা এত দিনে এসে সে কাজটা করা শুরু করেছেন। আর তাতে লাভবান হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়ালের রক্ষণভাগ এখন এই ফর্ম ধরে রাখতে পারলেই হয়!