মোহামেডানকে রুখে দিল উত্তর বারিধারা
কুমিল্লায় গত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছিল মোহামেডান। আজ টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে উত্তর বারিধারার সঙ্গে। পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেছে মোহামেডান। ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে পেনাল্টি থেকে।
আগের ৫ ম্যাচে ৭ গোল হজম করায় বারিধারার মূল গোলরক্ষক আজাদ হোসেনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কোচ শেখ জাহিদুর রহমানকেও অব্যাহতি দেওয়ার গুঞ্জন। আজ ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছিলেন সহকারী কোচ মাহবুবুল আলী মানিক। তিনি দ্বিতীয় গোলরক্ষক জসিম উদ্দিনকেও আজ খেলাননি। তৃতীয় গোলরক্ষক বয়সভিত্তিক জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা মিতুল মারমাকে নামিয়েছেন একাদশে।
মিতুলকে খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হয়নি। মোহামেডানের মূল ভরসা সোলেমান দিয়াবাতেকে বলতে গেলে একরকম বোতলবন্দী করে রাখেন বারিধারার ডিফেন্ডাররা, তাতেই অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়ে মোহামেডান। তাই ডি-বক্সের আশপাশে ঘোরাঘুরি করলেও কার্যকর কোনো শট নিতে পারেননি মোহামেডানের স্ট্রাইকাররা।
১৮ মিনিটে প্রথমে গোল করে বারিধারাকে এগিয়ে নেন তাদের উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার ইভগেনি কোচনেভ। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢোকার পর কোচনেভকে ফেলে দেন মোহামেডানের বুরকিনা ফাসোর ডিফেন্ডার মুনজির কোলিদিয়াতি। রেফারি ভরত চন্দ্র গৌড় পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন কোচনেভ। গোল শোধে মরিয়া মোহামেডান বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরায়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মালির স্ট্রাইকার সোলেমান দিয়াবাতে।
৬ ম্যাচে মোহামেডানের মাত্র একটাই জয়। সেটাও লিগের প্রথম ম্যাচে, আরামবাগের বিপক্ষে জিতেছিল সাদা-কালোরা। এরপর থেকে জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে মোহামেডানের জন্য। দুটি ম্যাচ হেরেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংসের কাছে। ৬ ম্যাচে ১ জয়, ৩ ড্র ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগের অষ্টম স্থানে মোহামেডান। বারিধারার এটি দ্বিতীয় ড্র। ৫ ম্যাচে কোনো জয় নেই। টঙ্গীতেই এর আগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল বারিধারা।