মেসির গোলে ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। খানিকটা নাটক, রোমাঞ্চ না হলে কি চলে! হোক সেটা প্রীতি ম্যাচ। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। আর্জেন্টিনাও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।
জেসুস প্রথমে পেনাল্টি মিস করে। মিনিট দু-এক পর পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনাও। ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন ঠেকিয়ে দেন মেসির শট। কিন্তু পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। মেসির ছোঁয়াতেই বল জালে জড়ায়। সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের বিপক্ষে মেসির একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরাটাও হলো মনে রাখার মতো। দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাও আবার ব্রাজিলের বিপক্ষে।
জেসুসের ওই মিস না হলে খেলার রংটাই বদলে যেত হয়তো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিলই। ম্যাচের দশম মিনিটে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। ফিরমিনোর বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতর পান জেসুস। বল নিয়ে আগানোর মুহূর্তে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় পারেদেসের ফাউলের শিকার হন। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বিপত্তি বাঁধে জেসুসের শটে। এই ফরোয়ার্ডের শট হলো বেপথু। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উল্লাস তখন বাঁধভাঙা। তাদের উল্লাস সমুদ্রের গর্জনে পরিণত হয় মিনিট দু-এক পর। ব্রাজিলের সীমানায় অ্যালেক্স সান্দ্রোর ফাউলের শিকার হন মেসি। কিন্তু মেসি যে শট নিলেন ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন সেটা ঠেকিয়ে দিলেন। ভাগ্যদেবী আর্জেন্টিনার পক্ষেই ছিল হয়তো। তা না হলে অমন বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে না পারায় সেটা ঘুরেফিরে মেসির কাছেই কেন যাবে! ম্যাচের ১৩তম মিনিটে মেসিও আলগা বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের কল্যাণে বেশ কয়বার রক্ষা পায় সেলেসাওরা। বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও তিতের শিষ্যদের আক্রমণে তেমন ধার ছিল না। উল্টোদিকে আর্জেন্টাইনরা পাল্টা-আক্রমণে উঠে বারবারই ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিল প্রতিপক্ষ শিবিরে। ম্যাচের ৬৬মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক নেন মেসি। রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে হাওয়ায় ভাসানো তাঁর সেই ট্রেডমার্ক কিক বাঁক নিয়ে গোলবার ঘেঁষে জালে জড়ানোর আগ মুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আলিসন। ৭৬ মিনিটে হার্মেনের এক দুর্দান্ত শটও রুখে দেন আলিসন। ৮৫ মিনিটে ভালো সুযোগ পায় মার্টিনেজ। কিন্তু এই আর্জেন্টাইন যে শট নিয়েছেন তা হতাশ করেছে সমর্থকদের।
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছে দুই দল। কিন্তু স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি কেউই।