মৃত্যুর দেড় বছর পর ম্যারাডোনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার
ডিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন দেড় বছরের বেশি হয়ে গেল। তবু যেন কিংবদন্তির শান্তি নেই! মৃত্যুর পর তাঁকে ঘিরে বিতর্ক-আলোচনা তো কম হচ্ছে না!
চিকিৎসকদের অবহেলায় ম্যারাডোনার মৃত্যু ঘটেছে কি না, এ বিষয় পরিষ্কার হতে পুলিশি তদন্ত হয়েছে। মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনা কতটা বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করেছেন, তা নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে এখনো তর্ক চলে। তাঁর বিষয়-সম্পত্তির ভাগীদার নিয়েও বিতর্ক হয়।
এবার অবশ্য অন্য কারণে শিরোনামে এলেন ’৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে!
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ক্লারিন জানিয়েছে, হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার পর ম্যারাডোনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ধনকুবের ইলন মাস্কের ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করা হয়।
তবে কয়েক ঘণ্টা পরই অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং মাস্কের পোস্টগুলোও মুছে ফেলা হয়। অ্যাকাউন্টে আগের সব স্টোরিজ ও পোস্ট ফিরে আসে। ম্যারাডোনার আগের প্রোফাইল পিকচারও ফিরে আসে।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছিলেন সন্তানেরা। গত শুক্রবার সকালে অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হওয়ার পরের কয়েক ঘণ্টায় কী ঘটেছে, সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলেননি ম্যারাডোনার সন্তানেরা।
ক্লারিন জানিয়েছে, ম্যারাডোনা বেঁচে থাকতে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট কাছের মানুষেরাই চালাতেন। তাঁর মৃত্যুর ছয় দিন পর তাঁর আইনজীবী মাতিয়াস মোরলার অনুমতি নিয়ে প্রথম পোস্ট করা হয়।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ম্যারাডোনার ছেলেমেয়েরা তাঁর অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেন। ম্যারাডোনার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে হাসিমুখের একটি ছবি পোস্ট করে উরুগুয়ের কিংবদন্তি লেখক এদুয়ার্দো গ্যালেনোর একটি উদ্ধৃতি পোস্ট করা হয়, ‘আগুনের শিখা কখনো এক রকম হয় না। বড় ও ছোট শিখার পাশাপাশি সব রঙের শিখাই আছে। অনেকের মানুষের মনের ভেতরকার শিখা হয় শান্ত স্বভাবের, বাতাসের চলাচলও তারা টের পায় না। অনেকে পাগলাটে হন, তাতে স্ফুলিঙ্গ থাকে। কিছু শিখা আবার বোকা, জ্বলে না, আলো দেয় না। কিন্তু বাকিরা এমন আবেগ নিয়ে নিজের জীবনকে পোড়ায় যে চোখ রগড়ে দেখতে হয়, যে-ই তার কাছে যাক আলোকিত হয়।’
এই উদ্ধৃতির পর প্রয়াত ম্যারাডোনাকে উদ্দেশ করে তাঁর সন্তানেরা লেখেন, ‘তোমার সন্তানেরা চায়, তোমার ভেতরকার অনন্য শিখাটা প্রজ্বলিত থাকুক। এ কারণে আমরা তোমাকে ইন্টারনেটে বাঁচিয়ে রাখব। তাতে যারা তোমাকে ভালোবাসে, অন্তত ভালোবাসাটুকু প্রকাশের একটা জায়গা পাবে।’