মিসরীয় দলে শ্বশুরের সঙ্গে প্রতারক জামাই
>বিশ্বকাপে খেলছেন মিসরের ৪৫ বছর বয়সী গোলরক্ষক এসাম এল হাদারি। জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থ মাহমুদ আবদেল মুনেইব কাহরাবার সঙ্গে শ্বশুর-জামাতার সম্পর্ক! যদিও সেই সম্পর্ক মধুর নয়। হাদারির মেয়ে শাদওয়ার কাছে আগের বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন
সম্পর্কটা তাঁদের শ্বশুর-জামাইয়ের। তবে সেটা বেশ মধুর, তা বলা যাবে না। বরং একধরনের তিক্ততা ছড়িয়ে আছে সেই শ্বশুর-জামাই সম্পর্কে। মেয়েকে কারও সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পর যদি কেউ দেখেন, তাঁর সাধের জামাইয়ের আরেকটা বিয়ে হয়েছিল, তখন সেই সম্পর্ক নিশ্চয়ই খুব মধুর থাকে না। বিশ্বকাপে মিসরীয় দলে মোহাম্মদ সালাহর চোট-সমস্যা বাদে আরও একটি সমস্যা আছে, তা হচ্ছে গোলরক্ষক এসাম এল হাদারি ও ডিফেন্ডার মাহমুদ আবদেল মুনেইব কাহরাবার সম্পর্কটা। মেয়ের সাবেক স্বামী কাহরাবার সঙ্গে মিসরীয় দলের ড্রেসিং রুমটা কীভাবে ভাগ করে নেবেন এল হাদারি!
ব্যাপারটা খুলেই বলা যাক, ফুটবলপাগল পরিবারে বেড়ে ওঠা এল হাদারি নিজের সতেরো বছরের মেয়ে শাদওয়াকেও বানিয়েছেন ফুটবলার, মিসরীয় ক্লাব ওয়াদি দেগলার নারী দলে খেলে সে, যে ক্লাবে এল হাদারি নিজেও বছর খানেক আগে খেলতেন। মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন মিসরীয় দলেরই তারকা ডিফেন্ডার আল মুনেইব কাহরাবার সঙ্গে। বিয়ের পর দেখা গেল, কাহরাবা আগে মিসরীয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা সারা খলিফাকে বিয়ে করলেও সে তথ্য গোপন করেছেন। তাই ৪৮ দিনের বেশি টেকেনি শাদওয়া-কাহরাবার বিয়ে। আগের স্ত্রী সারার কারণেই মূলত ফাঁস হয়ে যায় কাহরাবার প্রতারণা! নিজের মেয়ের সঙ্গে যে ছেলে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, সেই ছেলের সঙ্গেই জাতীয় দলের ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করতে হবে এই বিশ্বকাপে এসাম এল হাদারিকে। ব্যক্তিগত জীবনের রেষারেষি সামলে এই দুজন কীভাবে ঠান্ডা মাথায় খেলবেন দেশের হয়ে! তা নিয়ে সবার কৌতূহল থাকছেই।
একই সঙ্গে আত্মীয় আবার জাতীয় দলে সতীর্থ, এমন উদাহরণ শুধু এল হাদারি আর কাহরাবাই নন! মিসর দলের বিকল্প গোলরক্ষক শেরিফ একরামির বোনকে বিয়ে করেছেন দলের আরেক উইঙ্গার, সদ্য ইংলিশ লিগের ক্লাব হাডার্সফিল্ড টাউনে যোগ দেওয়া রামাদান সোবহি। তাঁর সংসার অবশ্য টিকে আছে সহি সালামতেই।