ব্রাজিলিয়ান রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ মেসির
মাঠে লিওনেল মেসির মুখ থেকে খুব কমই অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান রেফারি উইলটন পেরেইরা সাম্পাইয়োর ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।
গত জুলাইয়েও ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচে উইলটনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছুড়েছিলেন মেসি। বারবার বাঁশি বাজিয়ে ম্যাচের স্বাভাবিক গতি নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছিলেন পেরেইরার বিরুদ্ধে।
আজ পেরুর বিপক্ষে ম্যাচেও এই রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে কুণ্ঠা করেননি আর্জেন্টাইন তারকা।
বুয়েনস এইরেসে এস্তাদিও মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘কঠিন ম্যাচ। খেলাও কঠিন ছিল। অনেক বাতাস ছিল। ওরা (পেরু) জায়গা ছাড়েনি। এই রেফারি আমাদের ম্যাচ পরিচালনা করতে গিয়ে সব সময়ই এমন করে থাকেন, যেন ইচ্ছা করেই করছেন। কিন্তু ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়ে আমরা নিজেদের লক্ষ্যের আরও কাছে এগিয়ে গেলাম।’
রেফারির বিরুদ্ধে মেসিকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না। তবে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান এ রেফারির বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তা খোলাসা করে বলেননি মেসি। সেটি হতে পারে পেরুর পেনাল্টি পাওয়ার বিষয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর ১৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় পেরু। বক্সের মধ্যে জেফারসন ফারফানকে ফেলে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। যদিও পেনাল্টির সদ্ব্যবহার করে সমতাসূচক গোল আদায় করতে পারেনি পেরু। ক্রসবারে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন পেরু মিডফিল্ডার ইয়োশিমার ইয়োতুন।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাও পেনাল্টির দাবি তুলেছে। লওতারো মার্তিনেজ ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু মেসিদের দাবি উইলটন পেরেইরা কানে তোলেননি। আর্জেন্টিনা দলের দৃষ্টিকোণ থেকে আরেকটু গভীরে তাকানো যায়।
পেরু যে পেনাল্টি পেয়েছে, তাতে ফারফানের ইচ্ছা করে পড়ে যাওয়ার সন্দেহ করেছেন অনেকেই। ব্রাজিলিয়ান রেফারি তা নিশ্চিত হতে অবশ্য ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির সাহায্য নেননি।
এদিকে আর্জেন্টিনার দুটি গোলও বাতিল করা হয়। এর মধ্যে একটি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যে, আরেকটি ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করা হয়। ম্যাচে ২০টি ফাউল করে মাত্র দুটি হলুদ কার্ড দেখেছে পেরু। যদিও আর্জেন্টিনা ১২টি ফাউল করে একটি হলুদ কার্ডও দেখেনি।
এর বাইরেও বেশ কিছু মারাত্মক ফাউলে রেফারি বাঁশি বাজাননি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে পেরু তারকা জিয়ানলুকা লাপাদুলা রোমেরোকে যেভাবে ফাউল করেন, তাতে হলুদ কার্ড দেখালে ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড’ হতো না।